নদীয়ার গয়েশপুরে গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় যে ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হয়েছিল, কোনওরকম প্রমাণ ছাড়াই তাঁকে বিজেপি কর্মী আখ্যা দিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলেছিল গেরুয়া শিবির। তবে মৃতের পরিবারের বক্তব্যে শেষমেশ সেই অভিযোগ ধোপে না টিকলেও এবার ফের এক মৃত্যুতে রাজনীতির রঙ লাগানোর চেষ্টা শুরু করে দিল বিজেপি। বাড়ির অমতে ভিনধর্মের যুবককে বিয়ে করেছিল এক বধূ। বিয়ের চার মাসের মধ্যেই মৃত্যু হল ওই বধূর। আর এই ঘটনাতেই লেগেছে রাজনীতির রঙ। শুক্রবার হরিদেবপুরে মৃতার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। আর সেখানেই তিনি ‘সাম্প্রদায়িক’ তোপ দাগেন মমতা সরকারের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার ময়নাতদন্ত হয় ওই তরুণীর দেহের। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে হরিদেবপুরের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর আত্মহত্যারই ইঙ্গিত মিলেছে বলে খবর। স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে অবশ্য খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। তাই তরুণীর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে খুন, পণের জন্য বধূ নির্যাতন-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যে মৃতার স্বামী আব্দুল কালাম মণ্ডল এবং তাঁর পরিবারের ৪ সদস্যকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় বৃহস্পতিবার থেকেই পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এরই মধ্যে শুক্রবার দুপুরে তরুণীর বাপের বাড়িতে গিয়ে দেখা করেন বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। সেখানেই তিনি অভিযোগ করেন, ‘তৃণমূল ভোট ব্যাঙ্কের দিকে তাকিয়ে একটি সম্প্রদায়কে উত্সাহ দিচ্ছে।’ এর পাল্টা দিয়েছে তৃণমূলও। পারিবারিক অশান্তিকে বিজেপি সাংসদ রাজনীতির রং দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছে শাসকদল।