করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্র সরকার এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রক থেকে বারবার সোশ্যাল ডিসটেন্সিং পালন করার কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু যে অর্থে তা বলা হচ্ছে, সেখানে সামাজিক দূরত্ব কথাটির প্রয়োগ কতখানি যৌক্তিক? সেই প্রশ্নই তুলেছিলেন বিশিষ্ট চিকিৎসক এবং সাংসদ শান্তনু সেন।
শব্দ ব্রক্ষ্ম। তাই শব্দের প্রয়োগ যথাযথ হওয়া উচিৎ। ভুল শব্দ প্রয়োগ মানসিক মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যাঘাত হানতে পারে। এমনটাই বলেন মনোবিজ্ঞানীরা। শান্তনুবাবুর মতে, কেন্দ্র সরকারের ব্যবহার করা সোশ্যাল ডিসটেন্সিং বা সামাজিক দূরত্ব শব্দবন্ধটি ঠিক নয়। কারণ মূল বার্তাটি হল সংক্রমণ এড়াতে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার। অতিমহামারীর শুরু থেকেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাই ফিজিক্যাল ডিসটেন্সিং বা শারীরিক দূরত্ব শব্দবন্ধটি ব্যবহার করছেন। শুরুর দিকে না হলেও শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রের মোদী সরকারও শারীরিক দূরত্ব শব্দবন্ধটিকেই ঠিক বলে মেনে নিয়েছে।
কেন্দ্র সরকারও যাতে সোশ্যাল ডিসটেন্সিংয়ের বদলে ফিজিক্যাল ডিসটেন্সিং বা শারীরিক দূরত্ব শব্দ ব্যবহার করে সেই নিয়ে সংসদে সোচ্চার হয়েছিলেন শান্তনু সেন। চিঠি পাঠিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রককেও। শেষ পর্যন্ত তারাও শান্তনুবাবুর এই দাবি মেনে নিয়েছে। এই প্রসঙ্গে একটি টুইটে চিকিৎসক ও সাংসদ শান্তনু সেন লিখেছেন, ‘কোভিডের সঙ্গে লড়াইয়ে শুরু থেকেই সোশ্যাল ডিসটেন্সিংয়ের বদলে ফিজিক্যাল ডিসটেন্সিং বা শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার আবেদন করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনও এই শব্দ ব্যবহারের পক্ষে। সংসদেও এই নিয়ে সোচ্চার হয়েছিলাম। ভারত সরকারকেও জানিয়েছিলাম। শেষ পর্যন্ত তারা ‘শারীরিক দূরত্ব’ শব্দ ব্যবহারই ঠিক বলে মেনে নিয়েছে।’