রক্তমাখা মুখ, মূলোর মতো দাঁত, লাল চোখ, মুক্তকেশী- এই ধরণের দুই নারীমূর্তি দেখা যেত মা কালীর দুই পাশে। করোনা আবহে এই সব ডাকিনী যোগিনীরা এবার উধাও। বরাত নেই তাই শুধুমাত্র মা কালীর মূর্তিই গড়ছেন আসানসোলের কুমোরটুলি খ্যাত মহিশীলার মৃৎশিল্পীরা। গোটা মহিশীলাজুড়ে প্রায় দু’হাজার ছোট, মাঝারি কালী মূর্তি তৈরি হয়েছে। কিন্তু তন্নতন্ন করেও খুঁজে পাওয়া গেল না ভূচপিশাচের মূর্তি।
উত্তর আসানসোলের গোপাল নগরের কালীপুজো হচ্ছে নমো নমো করে। গোপালনগর ক্রিকেট ক্লাবের উদ্যোগে চল্লিশ ফুটের কালী প্রতিমা এবার হচ্ছে না। এখানে মা কালীর মূর্তি নেমে এসেছে সাত ফুটে। ক্লাবের সদস্য সুবল ঘোষ, সজল দাস, অম্বিকা মুখোপাধ্যায়রা বলেন, “করোনা আবহে মেলা এবার বন্ধ রাখা হয়েছে। দশদিন ধরে যে অনুষ্ঠান হত তা এবার হচ্ছে না।” এবার বৈভব ছেড়ে অনাড়ম্বর পুজো হচ্ছে বলে জানান আয়োজকরা।
মৃৎশিল্পী কৃষ্ণরুদ্র পাল বলেন, “কালী প্রতিমা গড়তে যা খরচ হয়, তার প্রায় সমানই লাগে ভূতপ্রেত বানাতে। সমান পরিশ্রম। অন্যান্য বছর ওইসব মূর্তির জন্য বরাত পাওয়া যেত। এবার কেউই এমন বরাত দেননি।” অন্যদিকে, করোনার জেরে চল্লিশ ফুটের কালী নেমে এল ৮ ফুটে। বসেনি মেলা, নেই অনুষ্ঠান। ক্লাবের মধ্যেই নমো নমো করে পুজো করবেন আসানসোল গ্রামের বিদ্রোহী সংঘের সদস্যরা। দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যে এবার ছেদ পড়ল আসানসোল গ্রামের কালী পুজোয়।