ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে তপসিয়ার খালপাড়ে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে ৫০টিরও বেশি ঝুপড়ি, কয়েকটি ছোট কারখানা ও গুদামঘর। আগুন নেভাতে প্রায় ৫ ঘণ্টা ধরে লড়াই করতে হয় দমকলের ১১টি ইঞ্জিনকে। এই প্রথম আগুন নিয়ন্ত্রণে স্বয়ংক্রিয় রোবট ব্যবহার করা হয় কলকাতায়। নিরাশ্রয় হয়ে পড়েছেন প্রায় ২৫০ জন বাসিন্দা।
এদিনের ঘটনা এতটাই বিধ্বংসী ছিল যে শুধু দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু নয়, ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এদিন তিনি নবান্ন সভাঘরে শারদ সম্মান প্রদান অনুষ্ঠান সেরে খবর পেয়েই কলকাতা পুরসভার ৬৬ নম্বর ওয়ার্ডের দাতাবাবা এলাকায় পৌঁছে যান। এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
প্রায় ১০ মিনিট ওই এলাকায় ছিলেন। ততক্ষণে আগুন আয়ত্তে আনতে পেরেছে দমকল। তবুও কিছু পকেট ফায়ার অর্থাৎ ইতিউতি দেওয়া আগুন নেভানোর কাজ চলছিল। কীভাবে এই ঘটনা ঘটল, ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপারে এদিন দমকলের ডিজি–র সঙ্গে কথা বলেন মমতা। যাঁদের বাড়িঘর পুড়ে গিয়েছে তাঁদের কোথায় রাখার ব্যবস্থা হয়েছে সে বিষয়ে তিনি খোঁজ নেন।
এদিন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসীদের ত্রাণ ও অন্য সাহায্য করার কথাও বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ ও দেবাশিস কুমারকে এলাকা পরিদর্শনের নির্দেশ দিয়েছেন।
এ ঘটনায় রাত ১০টা পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর মেলেনি। এদিন আগুনের ভয়াবহতা এতটাই ছিল যে তপসিয়া, তিলজলা ও প্রগতি ময়দান থানা–সহ বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সদস্যরা পৌঁছে যান ঘটনাস্থলে। আগুনে ঝলসে গিয়েছে ৫টি বিশালাকার গাছ, বেশ কয়েকটি বাইক, বহু আসবাবপত্র, একাধিক ছোট কারখানার মূল্যবান সামগ্রী।