‘ইসলাম জিন্দাবাদ’ স্লোগান তুলে এগিয়ে চলেছে বিরাট মিছিল। মিছিলে অংশ নেওয়া প্রায় সকলের মাথাতেই ফেজ টুপি। এমনই একটি ভিডিও টুইটারে শেয়ার করেন মধু পূর্ণিমা কিশ্বর নামের এক মহিলা। ভিডিওর ক্যাপশনে লেখা ‘এটা কলকাতা।’ আর তারপরই শুরু হয় জল্পনা। সত্যিই কি সাম্প্রতিক অতীতে এমন কোনও মিছিল দেখা গিয়েছিল কলকাতায়? সোমবার সব ধোঁয়াশায় জল ঢালল কলকাতা পুলিশ।
মধু পূর্ণিমা কিশ্বরের টুইটটি পোস্ট করে, সেটি সম্পূর্ণ ভুয়ো বলে স্পষ্ট করে দেয় কলকাতা পুলিশ। সঙ্গে এও জানিয়ে দেওয়া হয়, এভাবে ভুয়ো খবর ছড়িয়ে সাম্প্রদায়িক উসকানি দেওয়ার চেষ্টা করায় অভিযুক্তর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। নিজেদের পোস্টে কলকাতা পুলিশ জানায়, এটি কলকাতা নয়, বাংলাদেশের ঘটনা। মধু পূর্ণিমা কিশ্বরের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখলেই তা স্পষ্ট হবে। মিছিলে বাংলাদেশের পতাকার পাশাপাশি সেখানকার পুলিশকেও দেখা গিয়েছে।
গোটা ঘটনার নিন্দা করেছেন তৃণমূল সাংসদ সুগত রায়। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘অনেকেই ভুয়ো খবর ছড়িয়ে অশান্তি তৈরির চেষ্টা করে। কিন্তু বাংলায় কেউ সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়াতে পারবে না। বাংলা সবাইকে নিয়ে থাকতে জানে। এমন ঘটনাকে ধিক্কার জানাই।’
তবে এই প্রথম নয়, এই একই ভিডিও গত আগস্টেও পোস্ট করেছিলেন পাক বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান লেখক তারেক ফতে। তিনিও নিজের পোস্টে লিখেছিলেন, ‘এটা করাচি, কাশ্মীর কিংবা কেরালা না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলায় ইসলাম জিন্দাবাদের স্লোগান তোলা হয়েছে।’ তখনও মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল ভিডিওটি। খতিয়ে দেখা যায়, ভিডিও আসলে ২০১৭ সালের। ‘বাংলাদেশ ইসলামি আন্দোলন’ নামের সংগঠনের তরফে এই প্রতিবাদের ভিডিওটি দেওয়া হয়েছিল। সেবার ঢাকায় মায়ানমারের দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন সংগঠনের সদস্যরা। সেটি ভাইরাল হওয়ার পরও কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছিল, এর সঙ্গে কলকাতার কোনও সম্পর্ক নেই। আর এবার অভিযুক্তর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপই করা হল।