যেখানে একের পর এক ধর্ষণের ঘটনায় প্রায় রোজই তোলপাড় হচ্ছে দেশ। ধর্ষকদের শাস্তির দাবি উঠছে সর্বত্র। সেখানে হরিয়ানার বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টরের নির্দেশে ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধে দোষী সাব্যস্ত বিতর্কিত ধর্মগুরু রাম রহিমকে ২৪ ঘন্টার প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। আর স্বাভাবিকভাবেই একজন ধর্ষককে এভাবে মুক্তি দেওয়া নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছে হরিয়ানার বিজেপি সরকার। অবশ্য বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীর এমন বেআক্কেলে কাণ্ড নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন সুশাসনের বুলি আওড়ানো প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-সহ দলের শীর্ষ নেতৃত্বরা।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ধর্ষণের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত বিতর্কিত ধর্মগুরু রাম রহিম বর্তমানে রোহতকের সুনারিয়া জেলে সাজা খাটছেন। ‘গুণধর’ ধর্মগুরুর মা নসিব কাউর অসুস্থ হয়ে গুরুগ্রামের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি। অসুস্থ মাকে দেখার দেখার জন্য প্যারোলে মুক্তির আর্জি জানিয়েছিলেন ‘ধর্ষক’ পুত্র। আর হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর সেই আর্জি ফেরাতে পারেননি। কিন্তু রাম রহিমকে প্যারোলে মুক্তি দিলে হইচই শুরু হতে পারে, সেটা বুঝতে পেরে প্যারোলে মুক্তির বিষয়টি গোপন রাখার জন্য ‘আজ্ঞাবহ’ দাস তথা প্রশাসনিক আধিকারিকদের তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে মাত্র চার জন ওই নির্দেশের কথা জেনেছিলেন।
গত ২৪ অক্টোবর নিরাপত্তার নিশ্ছিদ্র ঘেরাটোপে সুনারিয়া জেল থেকে ‘ধর্ষক’ ধর্মগুরুকে গুরুগ্রামের মেদান্তা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যাতে কারও নজরে না পড়ে তার জন্য প্রিজন ভ্যানের চারিদিকে ভারী পর্দা লাগানো হয়েছিল। তিন কোম্পানি নিরাপত্তা রক্ষীর নিরাপত্তার বেষ্টনিতে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় রাম রহিমকে। সকাল থেকে সন্ধে পর্যন্ত হাসপাতালে মায়ের কাছেই ছিলেন ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত ধর্মগুরু। রাতেই তাকে ফের জেলে ফিরিয়ে আনা হয়। তবে এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই বেজায় অস্বস্তিতে পড়েছে হরিয়ানার বিজেপি সরকার তথা গেরুয়া শিবির।