আইপিএলে ফিরতি লিগে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ম্যাচের দিন দুপুরেই কেকেআর কর্তৃপক্ষের তরফে প্রেস রিলিজ দিয়ে জানান দীনেশ কার্তিক স্বেচ্ছায় ক্যাপ্টেন্সি ছেড়ে দিয়েছেন! তবে আসল ব্যাপার হল কার্তিকের উপর টিম মালিক শাহরুখ খান এতটাই বীতশ্রদ্ধ হয়ে উঠেছিলেন যে, তিনি চাননি কার্তিক আর ক্যাপ্টেন থাকুন। সূত্রের খবর অনুযায়ী, কেকেআর সিইও ভেঙ্কি মাইশোর-সহ টিম ম্যানজেমেন্টকে ক্যাপ্টেন কার্তিক নিয়ে নিজের ক্ষোভ উগরে দেন।
এমনিতেই কার্তিককে ক্যাপ্টেন রাখা নিয়ে কেকেআর সমর্থকদের মধ্যে একটা তীব্র রোষের সৃষ্টি হয়। বলাবলি হতে থাকে টিমে ইয়ন মর্গ্যানের মতো একজন বিশ্বজয়ী অধিনায়ক থাকা সত্ত্বেও কেন কার্তিককে ক্যাপ্টেন রাখা হচ্ছে? শোনা গেল, কয়েকটা সিদ্ধান্ত নিয়ে কোচ ব্রেন্ডন ম্যাকালামের সঙ্গে কথাকাটি হয় কার্তিকের। প্রথমত, কুলদীপ যাদবের জায়গায় বরুণ চক্রবর্তীকে খেলানো নিয়ে একটা মতবিরোধ তৈরি হয়। হ্যাঁ, এটা ঠিক প্রথম কয়েকটা ম্যাচ কুলদীপ একেবারেই ভাল বল করতে পারেননি।
কিন্তু বলা হয়, কুলদীপের উইকেট নেওয়ার একটা স্বভাবসিদ্ধ ক্ষমতা রয়েছে। তাছাড়া কুলদীপ ভারতীয় টিমে দীর্ঘদিন ধরে রয়েছেন। অনেক বেশি অভিজ্ঞ। আর একটা-দুটো ম্যাচ খারাপ খেললে যদি টিম থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হল, তাহলে সেই ক্রিকেটারের মনোবল আরও কমে যাবে। উল্লেখ্য, বরুণ তামিলনাড়ু ক্রিকেটার। কার্তিক নিজ রাজ্যের ক্রিকেটারকে বেশি খেলাতে চাইছেন বলেও অভিযোগ ওঠে। যা নিয়ে কোচ ম্যাকালামের সঙ্গে মতবিরোধ হয়।
একইরকম বিতর্ক হয় ইয়ন মর্গ্যানের ব্যাটিং অর্ডার নিয়েও। কোনও ম্যাচে মর্গ্যান চারে যাচ্ছিলেন, কোনও ম্যাচে আবার তার পরে। কয়েকটা ম্যাচে কার্তিক নিজে মরগ্যানের আগে ব্যাট করতে চলে যান। যা নিয়ে কেকেআর টিম ম্যানেজেমেন্ট খুব একটা খুশি ছিল না। বলা হয়, মরগ্যান টিমের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান। তাঁকে ব্যাটিং অর্ডারে পিছনে পাঠানোর অর্থ কী?
প্রসঙ্গত, শাহরুখ এখন সপরিবার আমিরশাহিতে। টিমের প্রত্যেকটা ম্যাচ মাঠে বসে দেখছেন। সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ ম্যাচ জেতার আগে পরপর দুটো ম্যাচ হার। সেটা একেবারেই মানতে পারেননি বাদশা। কেকেআর সূত্রের খবর, আরসিবি ম্যাচের পরই তিনি পুরো টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। পরিষ্কার করে বুঝিয়ে দেন, যেভাবে টিম চলছে, তাতে একেবারেই খুশি নন! কার্তিককে সরানো হবে, সেটা তখনই মোটামুটি ঠিক হয়ে যায়।