মা-বাবার সঙ্গে অশান্তি করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গণধর্ষণের শিকার হলেন উড়িষ্যার এক তরুণী। বছর সতেরো ওই তরুণীকে কটকের একটি পোলট্রি ফার্মে জোর করে আটকে রেখে লাগাতার গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। বাড়ি ছাড়ার বাইশ দিন পর নির্যাতিতা তরুণীকে পুলিশ উদ্ধার করেছে।
নির্যাতিতার বয়ান অনুযায়ী, দুই ব্যক্তি তাঁকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে। বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ ওই ফার্মে রেইড করলে নির্যাতিতা তরুণী উদ্ধার হয়। পুলিশের এক আধিকারিক জানান, ফার্মের মধ্যে কিছু একটা ঘটছে আন্দাজ করে স্থানীয় লোকজনই থানায় খবর দিয়েছিল। তার ভিত্তিতেই পুলিশ ওই ফার্মে তল্লাশি চালায়। দেখা যায়, ফার্মের একটি ঘরের মধ্যে এক তরুণীকে আটকে রাখা হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে একজনকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর জন ফেরার। পুলিশ তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে।
কটক শহরের ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ প্রতীক সিং জানান, ফেরার অভিযুক্তের খোঁজে একটি টিম তৈরি করা হয়েছে। আশা করা যায়, কয়েক দিনের মধ্যেই সে ধরা পড়বে। তরুণীকে উদ্ধার করে প্রথমে জেলা শিশু কল্যাণ কমিটির কাছে পেশ করা হয়। সেখান থেকে তাঁকে একটি অনাথআশ্রমে পাঠানো হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, বছর সতেরোর ওই তরুণীর বাড়ি উড়িষ্যার জগত্সিংহপুর জেলার তীর্তলে। বাইশ দিন আগে মা-বাবার সঙ্গে রাগারাগি করে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। ওএমপি স্কোয়্যার বাসস্টপেজে ওই তরুণীর সঙ্গে এক ব্যক্তির আলাপ হয়। তরুণীকে উদ্দেশ্যহীন ভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখে যেচেই আলাপ করে ওই ব্যক্তি। বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সেই ওই তরুণীকে সেখান থেকে নিয়ে যায়। এর পর তীর্তলে না গিয়ে, ওই ব্যক্তি মেয়েটিকে নিয়ে যায় কটকের চৌলিয়াগঞ্জ থানা এলাকার গাতিরোউতপত্না গ্রামে। সেখানে পোলট্রি ফার্মের একটি ঘরে তরুণীকে জোর করে আটকে রাখা হয়। বাইশ দিন ধরে দুই ব্যক্তি ওই তরুণীকে পালা করে ধর্ষণ করে।