প্রায় ১০ হাজারের কাছাকাছি নাম এনআরসি তালিকা থেকে বাদ পড়তে চলেছে আসামে। বাদ পড়তে চলেছেন সেই সব মানুষদের বংশধরেরাও। রাজ্যের কোরঅর্ডিনেটর ঋতেশ দেবশর্মা এই নিয়ে একটি একটি নির্দেশনামা জারি করেছেন। তিনি ডেপুটি কমিশনার ও জেলা রেজিস্ট্রার অফ সিটিজেন রেজিস্ট্রেশনকে জানিয়েছেন, এই বিষয়ে মৌখিক আদেশ জারি করে দিতে। যাতে ওই নাম বাদ দিয়ে দেওয়া হয়।
তিনি জানিয়েছেন, ডিএফ (ডিক্লেয়ার্ড ফরেনার্স)/ডিভি (‘ডি’ ভোটার্স)/পিএফটি (পেন্ডিং ইন ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালস), এই তিন স্তরের বেশ কয়েকজন মানু্ষ সরাসরি এনআরসির তালিকায় জায়গা পেয়েছেন। তাঁদের নাম বাদ দিতে হবে। এছাড়া তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, প্রশাসন চূড়ান্ত এনআরসির তালিকা প্রকাশের আগে যে কোনও সময় উপযুক্ত নথি ও প্রমাণের ভিত্তিতে নাম বাদ দেওয়া বা যুক্ত করার কাজ করতে পারে। গতবছর আগস্ট মাসে আসামের চূড়ান্ত এনআরসি তালিকা প্রকাশিত হয়। কিন্তু রেজিস্ট্রার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া এখনও সেটিকে বৈধতা দেয়নি। যার ফলে সেই তালিকা এখনও আইনত বৈধ নয়।
ঋতেশ দেবশর্মা চিঠিতে নির্দেশ দিয়েছেন যাতে দ্রুত এনআরসি তালিকা থেকে যাঁদের নাম বাদ পড়বে, তাঁদের তালিকা সরকারের কাছে জমা পড়ে। সেই সঙ্গে মৌখিক কথাবার্তার একটি নথি তৈরি করে আপলোড করতে যেটিতে এই নাম বাদ যাওয়ার কারণও বলা থাকবে। তিনি জানিয়েছেন, যাতে ভবিষ্যতে নির্দিষ্ট ব্যক্তির পরিচয় নিয়ে কোনও ঝামেলা তৈরি হলে, স্পষ্ট উল্লেখ করা থাকবে, কী করা উচিত, কী করা উচিত নয়। সেই নির্দেশের ভিত্তিতেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ১০ হাজার মানুষের নাম ভুল করে এনআরসি তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে। যাদের নাম বাদ দিয়ে দেওযা দরকার।
সূত্রের খবর সমস্ত সম্প্রদায়ের লোকেদের নামই এই তালিকায় রয়েছে। সংখ্যাটা বড় দেখাচ্ছে কারণ, এখানে রয়েছে তাঁদের বংশধরের নামও। এনআরসি তালিকা গত আগস্ট মাসে প্রকাশিত হওয়ার পরেই একাধিক পার্টি একযোগে এর প্রতিবাদ করে। সেখানে ভারতের নাগরিকদের নাম বাদ পড়ার অভিযোগ উঠেছিল।