এই করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই মারণ ভাইরাসকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বৃহস্পতিবার নবান্ন অভিযান কর্মসূচী নিয়েছিল বিজেপি। যার ফলে প্রায় গোটা দিনই উত্তাল ছিল রাজ্য রাজনীতি। এরই মধ্যে জানা গেল, গতকাল বিজেপির মিছিলে অবরুদ্ধ হাওড়া শহরে ঢুকতেই পারেনি অ্যাম্বুল্যান্স। আর তার ফলে প্রাণ হারিয়েছেন অসুস্থ রোগী। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার চ্যাটার্জিহাটে।
সম্প্রতি গ্যাংগ্রিন হওয়ায় মধ্য হাওড়ার সিদ্ধেশ্বরীতলা লেনের বাসিন্দা ছিলেন সৌরভ সাঁতরার (৫১) ডান পা বাদ দিতে হয়েছিল। নার্সিংহোম থেকে বাড়িও ফিরেছিলেন। থাকছিলেন চ্যাটার্জিহাটের শ্বশুরবাড়িতে। সেখানেই বৃহস্পতিবার হঠাৎ শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। স্থানীয় চিকিৎসক এসে বলেন, হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। এর পর সৌরভবাবুর শ্বশুর শান্তিকুমার মিত্র অ্যাম্বুল্যান্সে যোগাযোগ করেন। বারে বারে ফোন করেন অ্যাম্বুল্যান্স চালককে। কিন্তু চালক জানান, কোনও রাস্তা দিয়েই তিনি গাড়ি ঢোকাতে পারছেন না। শেষ পর্যন্ত সৌরভকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে না পারায় তিনি মারা যান।
মর্মান্তিক এই ঘটনার পর তাঁর শ্বশুর শান্তিকুমার মিত্র ফেসবুকে একটি পোস্টে লেখেন, ‘ভারতীয় জনতা পার্টির জমায়েত আজ আমার বড় মেয়েকে বিধবা করে দিল, অতি উৎসাহী সুশীল সমর্থক সৌজন্যে জীবনদায়ী কোনও রকম ব্যবস্থা পাওয়া গেল না। ধন্যবাদ জানাই এই সব সমর্থকদের আর ভগবানের কাছে প্রার্থনা করি, আমার মতো অবস্থায় যেন কাউকে পড়তে না হয়।’ সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ’জীবনে সবচেয়ে বড় আঘাত পেয়েছি। জামাইয়ের জন্য ওষুধ আনতে গিয়েছিলাম। অ্যাম্বুল্যান্স পৌঁছোতেই পারল না। ও চলে গেল।’