এসসি-এসটি সহ রাজ্যের তফসিলি উপজাতির পড়ুয়াদের জন্য ১০ লক্ষ টাকা লোনের ঘোষণা করেছিলেন তিনি। এবার রাজ্যের সমস্ত দুঃস্থ পড়ুয়াদের জন্যই কল্পতরু হলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মাধ্যমিক, জয়েন্ট এন্ট্রান্স, হাই মাদ্রাসা সহ বিভিন্ন পরীক্ষায় কৃতি ছাত্রছাত্রীদের নবান্ন থেকে ভার্চুয়ালি সংবর্ধনা জানানোর পাশাপাশি তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতিও দিলেন তিনি৷ পড়ুয়াদের সর্বোতভাবে সাহায্য করার জন্য রাজ্য সরকার সব সময় তাঁদের পাশে রয়েছে বলেও বার্তা তাঁর৷
এদিনের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনা করতে গিয়ে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে৷ পারিবারিক অসঙ্গতির কারণে কোনও পড়ুয়া পড়াশোনায় মনোনিবেশ করতে না পারলে, পড়াশোনা চালিয়ে যেতে না পারলে চিঠি লিখে সে কথা জেলা শাসককে জানাতে পারবেন তাঁরা৷” কোনও পড়ুয়ার পড়াশোনা করার ক্ষেত্রে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, এসপি এবং শিক্ষা দফতরকে তা দেখার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷
এদিনের বৈঠক থেকে তিনি আরও বলেন, “রাজ্য সরকার বা শিক্ষা দফতরের কোনও সাহায্য চাইলে বা পারিবারিক কোনও সাহায্যের প্রয়োজন হলে জেলা শাসককে চিঠি লিখে তা জানাতে হবে৷ জেলা শাসক ও শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরা কথা বলে সেই চিঠি নবান্নে পাঠিয়ে দেবেন৷” অর্থাৎ এক চিঠিতেই হবে সমস্যার সমাধান৷
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কিছু পরিবার আছে যাঁদের বই কেনারও সামর্থ্য নেই। কারও বৃত্তি প্রয়োজন, আবার ছেলেমেয়ের উচ্চ শিক্ষার জন্য কারও বাবার আর্থিক সঙ্গতি নেই, এই বিষয়গুলি যাচাই করে নিতে হবে৷ সর্বোতভাবে এই পড়ুয়াদের সাহায্য করতে হবে৷ শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের কাছে তাঁর অনুরোধ, কোনও ছাত্রছাত্রী চিঠি দিতে চাইলে তা অবশ্যই যেন গ্রহণ করা হয়৷ কার কী সমস্যা জেনে, সেই চিঠি শিক্ষা সচিব মণীষ জৈনের হাতে পৌঁছে হবে৷ কোনও আবেদন নিয়মের বাইরে এলে, সেগুলিকে স্পেশাল বিষয় হিসাবে দেখতে হবে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী৷