সে এক অন্য পৃথিবীর গল্প। করোনা পূর্ববর্তী ভারতবর্ষ। রাজধানী দিল্লী তখন উত্তপ্ত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে। আইনটি পাশ হতেই বিক্ষোভ প্রতিবাদের কেন্দ্র হয়ে হয়ে ওঠে শাহিনবাগ। সেই উত্তাল আন্দোলনের দিন আর নেই, ঘটনাপরম্পরাও বদলে গিয়েছে করোনা পরিস্থিতির কারণে। শাহিনবাগ ঠিক না ভুল সে প্রশ্ন ছিল, আছে, থাকবে। কিন্তু একই সঙ্গে দেশবাসী মনে রাখবে বিলকিস, শর্বরীদেবী, আসমা খাতুন তথা শাহিনবাগের দাদিদের, যাঁরা ১৫ দিন ধরে জানুয়ারির হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডা উপেক্ষা করে প্রতিবাদ করেছিলেন। শাহিনবাগের সেই দাদি, ৮২ বছর বয়সি বিলকিসকেই এবার কুর্নিশ জানালো টাইম ম্যাগাজিন।
বয়সকে তুচ্ছ করে তিনি যে ভাবে নিজের মতকে আঁকড় তাঁবুতে থেকে দিনের পর দিন লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন, সেই অদম্য জেদকেই স্যালুট করছে টাইম ম্যাগাজিন।
টাইম ম্যাগাজিনের এই সংখ্যায় একটি নিবন্ধ লিখেছেন সাংবাদিক ও সমাজকর্মী রানা আইয়ুব। রানার লেখাতেও এসেছে শাহিনবাগের এই দাদির কথা। তিনি এই দাদিকে প্রান্তিক মানুষের লড়াইয়ের মুখ বলে আখ্যায়িত করেছেন।
জানুয়ারির শাহিনবাগ হয়ে উঠেছিল সিএএ বিরোধী আন্দোলনের এপিসেন্টার। আর অশীতিপর বিলকিস বা নুরুন্নাসারা ছিলেন সেই আন্দোলনের নিউক্লিয়াস। ছানি পড়া ঘোলাটে চোখের ক্ষীণ দৃষ্টিসম্পন্ন দাদিদের সেই অবস্থান বিক্ষোভ থেকে জোরালো স্বর উঠেছিল, ‘এই আইন প্রত্যাহার না হলে এক পাও নড়ব না।’