কোনো অসুখে শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা তৈরি হলে সেই অসুখের ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা ১০০ শতাংশ থাকে না। তাই করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রেও ভ্যাকসিন মানব শরীরে ১০০ শতাংশ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করবে, এমন মনে করার কোনও কারণে নেই বলে জানালেন ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিক্যাল রিসার্চের ডিরেক্টর জেনারেল ডা. বলরাম ভার্গব।
তিনি বলেন, ‘নিশ্বাসের অসুখের ক্ষেত্রে কোনও ভ্যাকসিনেরই ১০০ শতাংশ কার্যকারিতা থাকে না। বিশ্ব স্বাস্থ সংস্থার কথামতো একটি ভ্যাকসিনের তিনটি জিনিস থাকা উচিত। সেগুলি হল – নিরাপত্তা অর্থাত্ এই ভ্যাকসিন থেকে যাতে বড় কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা না যায়, ইমিউনিতি বাড়ানোর ক্ষমতা এবং কার্যকারিতা। হু-র বক্তব্য অনুসারে ৫০ শতাংশ কার্যক্ষমতার ভ্যাকসিন ব্যবহারের যোগ্য। আমরা ভ্যাকসিনের ১০০ শতাংশ কার্যকারিতার লক্ষ্য রেখেছি। তবে ৫০-১০০ শতাংশ কার্যক্ষমতাও গ্রহণযোগ্য।’
অক্সফোর্ডের তৈরি করোনার ভ্যকসিন প্রথম দফার ট্রায়ালে যথেষ্ট আশার সঞ্চার করেছে। এর পরীক্ষামূলক প্রয়োগে প্রমাণিত হয়েছে যে মানব শরীরে এর ব্যবহার নিরাপদ এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোয় এটি সক্ষম। ভারতেও যে সব ভ্যকসিনের ওপরে কাজ চলছে, সেগুলিরও যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে এবং এগুলি অনেক সহজ কম্পোজিশনে তৈরি এবং নিরাপদও বলে জানিয়েছে ড্রাগ রেগুলেটরি অথরিটি।
সেন্ট্রাল ড্রাগস অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড কনট্রোল অর্গানাইজেশন জানিয়েছিল যে করোনার ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে গবেষকরা ১০০ শতাংশ কার্যকারিতার বদলে এমন ভ্যকসিনের ওপরেই ভরসা করুন, যেগুলি মানব শরীরকে গুরুতর সংক্রমণ থেকে রক্ষা করবে।