৭০ বছরের সুদীর্ঘ সম্পর্কের বন্ধন অবশেষে ভাঙতে বসেছে। টাটা গ্রুপের সর্ববৃহত্ মাইনরিটি শেয়ার হোল্ডার মিস্ত্রী গোষ্ঠী আর কোনও সম্পর্ক রাখতে চাইছে না টাটার সঙ্গে।
বছরের শুরুতেই নাটকীয় মোড় নিয়েছিল টাটা-মিস্ত্রী সম্পর্ক। টাটা সন্সের চেয়ারম্যান পদে সাইরাস মিস্ত্রিকে পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়েছিল ন্যাশনাল কোম্পানি ল’ট্রাইবুনাল। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রতন টাটা। শীর্ষ আদালতে এই মামলার শুনানি শুরুর আগের দিনই বড় ঘোষণা করেছিলেন সাইরাস মিস্ত্রির। টাটা সন্সের কার্যনির্বাহী চেয়ারম্যান পদে বসতে চান না বলে জানিয়েছিলেন তিনি। ট্রাইবুনালের রায়ে তিনি অভিভূত বলেও জানিয়েছিলেন। তবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণভাবে এবার সুপ্রিম কোর্টেও ধাক্কা খেলেন সাইরাস মিস্ত্রি। আদালতের নির্দেশের উপর এদিন স্থগিতাদেশ জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট। ফলে সাইরাস টাটা সন্সে ফিরতে চাইলেও সেই প্রক্রিয়া থমকে যেত।
এই মুহূর্তে মিস্ত্রী পরিবারের হাতে টাটা গ্রুপের প্রায় ১৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টকে টাটা সনস প্রাইভেট লিমিটেড স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে তারা মিস্ত্রীদের থেকে পুরো শেয়ার কিনে নিতে প্রস্তুত। উল্লেখ্য সাপুরজি পালোঞ্জির দেনা মেটাতে এই শেয়ারের অংশ বাজারে বিক্রি করার প্রস্তাব রেখেছিল মিস্ত্রী গ্রুপ। তাতেই আপত্তি তোলে টাটা সংস্থা। টাটা সংস্থার আশঙ্কা ছিল, বাইরে কোম্পানির শেয়ার চলে গেলে তার সংস্থার পক্ষে ক্ষতিকারক হতে পারে।
মঙ্গলবার রাতে সাপুরজির তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘শেয়ার থেকে টাকা তোলার ক্ষেত্রে যেভাবে টাটা সনস হস্তক্ষেপ করেছে এবং বাধা দিয়েছে, কোনও আনুষাঙ্গিক ক্ষতির দিক বিচার না করেই, তার থেকে স্পষ্ট ওদের প্রতিহিংসাপরায়ণ মানসিকতা। ৭০ বছরের উপর এস-টাটার সম্পর্ক বেঁচে ছিল পারস্পরিক বিশ্বাস এবং বন্ধুত্বের উপর। কিন্তু আজ সবার স্বার্থ সুরক্ষার জন্য এই সম্পর্ক ছিন্ন হওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।