বলিউডের তারকাদের সঙ্গে মাদক চক্রের কিংপিনদের যোগাযোগের কোনও স্পষ্ট প্রমাণ নেই। সুশান্ত সিং রাজপুত মৃত্যু মামলায় রিয়া চক্রবর্তী তথা অন্যান্য বলিউড তারকাদের মাদক যোগ নিয়ে একের পর বিস্ফোরক অভিযোগের মধ্যে সংসদে অন্য কথা শোনাল কেন্দ্র। লোকসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জি কিষেণ রেড্ডি লিখিতভাবে জানালেন, এনসিবির কাছে এমন কোনও প্রমাণ নেই, যাতে বলা যায় বলিউডের সঙ্গে মাদক চক্রের নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে।
সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর থেকেই কাঠগড়ায় বলিউড। বলিউডের ‘মুভি মাফিয়া’দের আক্রমণ করে একের পর এক মন্তব্য করে চলেছেন কঙ্গনা রানাউত। নেটদুনিয়ার একাংশও বিনোদন জগতের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। গ্ল্যামার জগতের মাদক যোগ নিয়ে অনেকে সরব হয়েছেন। মঙ্গলবার সংসদে এর প্রথম প্রতিবাদ করেন সমাজবাদী পার্টির সাংসদ তথা অভিনেত্রী জয়া বচ্চন। তাঁর অভিযোগ, সামান্য কয়েকজনের জন্য গোটা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে বদনাম করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বলিউডের মাদক চক্র নিয়ে ‘ভুয়ো’ অভিযোগ তোলায় বিজেপি সাংসদ রবি কিষেণকেও তুলোধোনা করেন তিনি। যার তীব্র প্রতিক্রিয়া আসে গেরুয়া শিবির থেকেও।
এরপরই এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়ে দেয়, করোনা ভাইরাসের লকডাউনের সময় নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর কাছে এমন কোনও তথ্য বা প্রমাণ আসেনি যাতে বলা যায়, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির লোকজনের সঙ্গে মাদকের কারবারিদের নিয়মিত যোগাযোগ আছে। নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো সারাবছরই তল্লাশি অভিযান চালায়। কিন্তু এই ধরনের কোনও যোগসাজশ এখনও স্পষ্ট নয়। তবে, সুশান্ত মামলায় যে মাদক যোগের প্রমাণ মিলেছে তাও স্পষ্ট করে দিয়েছে কেন্দ্র। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, ২৮ আগস্ট এনসিবির মুম্বই জোনাল ইউনিটে দায়ের হওয়া মামলায় এখনও পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এবং, গাঁজা, টেট্রা হাইড্রো ক্যানাবিনল, এলএডির মতো বেশ কিছু মাদক বাজেয়াপ্ত হয়েছে।