সংসদের বাদল অধিবেশন শুরু হল সোমবার। এদিন সকালেই লোকসভায় একটি প্রস্তাব পাশ করানো হয়। তাতে বলা হয়েছে, এবার প্রশ্নোত্তর পর্ব থাকবে না। বিষয়টি নিয়ে আগেই সরব হয়েছিলেন বিরোধীরা। তাঁদের বক্তব্য ছিল, সংসদে সরকারকে প্রশ্ন করার অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। এই প্রস্তাব পাশ করানোর পর লোকসভায় সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী বলেন, সরকার প্রশ্ন করাকে ভয় পায় না।
মন্ত্রীর কথায়, ‘এখন একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। কোনও রাজ্যের বিধানসভা একদিনের জন্যও বসতে পারেনি। আমরা সেখানে ৮০০-৮৫০ জন এমপিকে নিয়ে অধিবেশন করছি। সরকারকে প্রশ্ন করার আরও নানা উপায় আছে। সরকার প্রশ্নকে ভয় পাচ্ছে না।’ অধিবেশন শুরুর আগে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী চীনের সঙ্গে সীমান্ত বিরোধের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘আশা করি সংসদের সদস্যরা ঐক্যবদ্ধভাবে বার্তা দেবেন, পুরো জাতি সৈনিকদের পাশে আছে।’
প্রতিবার সংসদের অধিবেশন বসার আগে একটি সর্বদলীয় বৈঠক হয়। রবিবার সরকার জানিয়েছে, করোনা সংকটের মধ্যে সর্বদলীয় বৈঠক হওয়া সম্ভব নয়। এবার সংসদের অধিবেশন দৈনিক চার ঘণ্টা করে। সপ্তাহে সাতদিনই অধিবেশন চলবে। কেবল লিখিতভাবে প্রশ্ন করা যাবে। লিখিতভাবেই তার জবাব দেওয়া হবে। এবার রাজ্যসভার অধিবেশন হবে সকাল ন’টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত। লোকসভা বসবে বিকাল তিনটে থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত। গত মার্চ থেকে বেশ কয়েকটি অর্ডিন্যান্স জারি করা হয়েছে। সেগুলির বদলে এবার ১১ টি বিল পাশ করা হবে। তার মধ্যে আছে কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য নিয়ে বাণিজ্যে সহায়তা বিল, ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিয়ন্ত্রক বিল, অত্যাবশ্যকীয় পণ্য (সংশোধনী) বিল ইত্যদি। এছাড়া শ্রম আইন নিয়ে তিনটি বিল পাশ করানো হবে। তার মধ্যে আছে প্রভিডেন্ট ফান্ড, মাতৃত্বকালীন সুবিধা, শ্রম বিরোধ, ট্রেড ইউনিয়ন, শিল্পে নিরাপত্তা ও শ্রমিকদের কল্যাণ সংক্রান্ত বিল।