হুগলীর দাদপুরে সাতসকালে পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন রাজ্য পুলিশের কম্যান্ডিং অফিসার দেবশ্রী চট্টোপাধ্যায়। একইসঙ্গে মৃত্যু হয়েছে তাঁর গাড়িচালক ও নিরাপত্তারক্ষীরও। গাড়ির অতিরিক্ত গতির জন্য এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা। তিনজনের দেহ হুগলির ইমামবাড়া হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।
কলকাতা পুলিশের প্রথম মহিলা ওসি ছিলেন দেবশ্রী চট্টোপাধ্যায়। ২০১০ সালে নর্থ পোর্ট থানায় ওসি হন তিনি। ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনের পর যে অফিসারদের কলকাতা থেকে জেলায় ডেপুটেশনে পাঠানো হয়েছিল, তিনি ছিলেন তাঁদের মধ্যে একজন। দাপুটে, দক্ষ, সৎ অফিসার হিসেবে জনপ্রিয় ছিলেন ৪৬ বছরের দেবশ্রী। বর্তমানে ডাবগ্রামের ১২ নং ব্যাটেলিয়নের কম্যান্ডিং অফিসার ছিলেন তিনি।
পুলিশ জানিয়েছে, আজ শুক্রবার ভোর সাড়ে ছ’টা নাগাদ ২ নম্বর জাতীয় সড়কে দাদপুর থানার হোদলা ব্রিজের কাছে দাঁড়িয়ে থাকা ১২ চাকার একটি বালির লরির পিছনে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে দেবশ্রীর স্করপিও গাড়িটি। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, গাড়ির চালক সম্ভবত ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। ঘটনাস্থলেই গাড়িটি দুমড়মুচড়ে যায়। সে সময় ওই এলাকায় টহল দিচ্ছিলেন পুলিশ ও সিভিক ভলান্টিয়াররা।
দুর্ঘটনার পরে আহত তিন জনকেই চুঁচুড়া ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায় দাদপুর থানার পুলিশ। সেখানে তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিংসকরা। ঘটনার খবর পেয়ে হুগলি গ্রামীণ পুলিশের এসপি তথাগত বসু হাসপাতালে এসে পৌঁছন। ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে দেহগুলি।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে শিলিগুড়ির ডাবগ্রাম থেকে গাড়ি নিয়ে বেহালার পর্ণশ্রীতে নিজের বাড়ি ফিরছিলেন অফিসার। দুর্ঘটনার সময়ে গতি বেশ বেশি ছিল তাঁর গাড়ির। সে কারণেই দুর্ঘটনা, নাকি ক্লান্তিতে চালকের চোখ লেগে গেছিল, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। রাজ্য পুলিশের অন্যতম দক্ষ পুলিশ আধিকারিক দেবশ্রী চট্টোপাধ্যায়ের এমন আকস্মিক ও মর্মান্তিক পরিণতিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পুলিশ মহলে।