হু-এর ‘কোভ্যাক্স’ আন্তর্জাতিক জোটে যোগ দেওয়ার জন্য ভারতকে ফের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সোমবার হু-এর এক কর্তা একথা জানিয়েছেন। জেনিভার সম্মেলনে ব্রুস অ্যায়লওয়ার্ড বলেন, “ভারত অন্য অনেক দেশের মতোই যোগ্য এই ভ্যাকসিন গবেষণার ক্ষেত্রে। দুর্দান্ত কাজ করছে দেশটি। সে কারণেই আমরা আলোচনায় চাইছি তাকে।”
কোভ্যাক্স আদতে একটি আন্তর্জাতিক ভ্যাকসিন জোট। একে একটি পরিষেবাও বলা যেতে পারে। প্রাথমিক ভাবে এর কাজ হল, করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরি হলে বিশ্বের সব দেশ যাতে সেটি ব্যবহার করার সুযোগ পায়, ন্যায্যমতে সেটি বণ্টন হয় সকলের মধ্যে, তা ঠিক করবে তারা।
মোট কতগুলি দেশ এতে যোগ দিয়েছে, তা এখনও জানায়নি হু। তবে ১৫ জুলাই হু-এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ৭৫টি ভ্যাকসিন নির্মাতা দেশ ইতিমধ্যেই ৯০টি গরিব দেশের সঙ্গে পার্টনারশিপ করার আগ্রহ দেখিয়েছে। এতে সারা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৬০ শতাংশ উপকৃত হতে পারে বলে মনে করছে হু।
হু-এর আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে ভারতের কী লাভ হবে, এটাই এখন বড় প্রশ্ন। করোনা মহামারী সামাল দিতে গিয়ে ভারতের অর্থনীতি যে তলানিতে ঠেকেছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ফলে ভ্যাকসিন আবিষ্কার হলে তা সারা দেশের মানুষের জন্য কেনার ব্যাপারে ভারত কতটা সফল হবে, তা এখনও দ্বন্দ্বে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কোভ্যাক্স চুক্তিতে আবদ্ধ থাকলে দেশের অন্তত ২০ শতাংশ জনসংখ্যার টিকাকরণ করা যেতে পারে।