মোদী সরকার ঘোষিত নয়া শিক্ষানীতি নিয়ে আগেই তীব্র আপত্তি জানিয়েছিল বাংলা। সোমবার নতুন শিক্ষানীতি নিয়ে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও রাজ্যপালদের সঙ্গে বৈঠকে রাজ্যের তরফে অবস্থান স্পষ্ট করলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ‘রাজ্যের সঙ্গে কথা বলা হয়নি। একতরফাভাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এটা যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর পরিপন্থী। এভাবে রাজ্যের ক্ষমতা খর্ব করা হচ্ছে।’ এদিন শিক্ষানীতি নিয়ে ভিডিও কনফারেন্স মারফত আলোচনা সভায় এমনই অভিযোগ করেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, সোমবার জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে বিশেষ আলোচনা সভার সূচনা করেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। সোমবার ভিডিও কনফারেন্সে এই আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিওয়াল নিশঙ্ক ও বিভিন্ন রাজ্যের রাজ্যপাল, শিক্ষামন্ত্রী ও উপাচার্যরা। সেখানেই বাংলার তরফে পার্থ বলেন, ‘একতরফা ভাবে শিক্ষানীতি প্রণয়ন করা হয়েছে। কেন্দ্রের পদক্ষেপে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ভেঙে দেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষার মতো একটি বিষয় নিয়ে একতরফা ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। এই সিদ্ধান্ত মানা যায় না। রাজ্যের মতামতকেও গুরুত্ব দেয়নি কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় সরকার নিজেদের কর্তব্য পালন করেনি।’
কেন্দ্রের তৈরি নয়া শিক্ষানীতিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরে ভর্তি, এম ফিল তুলে দেওয়া-সহ একগুচ্ছ অভিযোগ রয়েছে বাংলার। কেন্দ্রীয় সরকারকে সমস্ত অভিযোগ লিখিত আকারে রাজ্য সরকারের তরফে দ্রুত পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘আমায় শেষে বলার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। আমি রাষ্ট্রপতিকে বলেছি, আমাদের রাজ্যের অনেকগুলো বিধির ওপরে আপত্তি আছে। আমরা বলেছি উচ্চশিক্ষাকে যে জায়গায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তাতে কেন্দ্রীয়করণ, বাণিজ্যকরণ হচ্ছে।’ শুধু তাই নয়। পার্থর তোপ, ‘ক্লাসিক্যাল ভাষায় বাংলা-ই নেই। জাতীয় সঙ্গীত যিনি রচনা করেছেন, তাঁর ভাষা-ই ধ্রুপদী ভাষার তালিকা থেকে বাদ।’