ক্ষয় হতে শুরু করেছে চাঁদের দুই মেরু? জং ধরছে চাঁদের লোহাতে? যদিও তার প্রমাণ কিন্তু মিলেছে হাতে নাতেই। এই প্রথম পৃথিবীর আত্মজাকে ক্ষয়-রোগের কবলে পড়তে দেখে হইচই শুরু হয়ে গেছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো ও মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসায়। চাঞ্চল্যকর এই খবর জানা গেছে ইসরোর চন্দ্রযান-১ এর পাঠানো ছবি ও তথ্য থেকে।
চাঁদের গহ্বর বা ক্রেটারে খনিজের ছড়াছড়ি। ‘মুন মিনারালোজি ম্যাপার ইনস্ট্রুমেন্ট (এম-থ্রি)’ দিয়ে চাঁদের মাটিতে বিভিন্ন খনিজের হদিশ দিয়েছিল চন্দ্রযান-১। সেইসব ছবি ও তথ্য বিশ্লেষণ করেই তাজ্জব বনে গিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। চাঁদের লোহা, জল আর অক্সিজেন মিশে গিয়ে মরচে ধরতে শুরু করেছে। আর এই ঘটনা এক আধদিনের নয়। কয়েক কোটি বছর ধরেই মরচে পড়ছে চাঁদে।
চন্দ্রযান-১ খবর পাঠিয়েছিল, চাঁদের মাটিতে বরফের অস্তিত্ব মিলেছে। তবে চাঁদে যে কুলকুল করে জল বয়ে যাচ্ছে তেমনটা জানা যায়নি। আশ্চর্যের ব্যাপার হল চাঁদে বায়ুমণ্ডলও নেই। তাই অক্সিজেনের ছিটেফোঁটাও নেই। চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ বল পৃথিবীর ৬ ভাগের ১ ভাগ মাত্র। চাঁদে বায়ুমণ্ডল না থাকার কারণেই দাপুটে সৌরঝড়, সৌরকণারা চাঁদের সহজেই আছড়ে পড়তে পারে। মরচে ধরার প্রধান দুই উপকরণ জল ও অক্সিজেন না থাকা সত্ত্বেও এমন ঘটনা কীভাবে ঘটে চলেছে সেই নিয়েই চিন্তিত বিজ্ঞানী মহল।
চাঁদিকে লোহার ছড়াছড়ি, তৈরি হচ্ছে হিমাটাইট
চন্দ্রযান-১ এর পাঠানো ছবি খুঁটিয়ে দেখে বিজ্ঞানীরা বলছেন, চাঁদের মাটিতে হিমাটাইট খনিজের সন্ধান মিলেছে। হাওয়াই ইউিভার্সিটির গবেষকরা বলছেন ‘লুনার হিমাটাইট’। এই হিমাটাইট হল লোহা বা আয়রনের একটি যৌগ। এক ধরনের আয়রন অক্সাইড, যাকে আমরা মরচে বলি। গবেষকরা বলছেন, চাঁদের মেরু অঞ্চলে যেখানে বরফের খোঁজ দিয়েছিল চন্দ্রযান-১ সেই এলাকাগুলিতেই মরচে পড়ার পরিমাণ সবচেয়ে বেশি।