‘কোনও ছোটখাটো মামলা নয়। তাই স্রেফ অসুস্থতার কারণে জামিন দেওয়া সম্ভব নয়।’ শিখ দাঙ্গা মামলায় দোষী প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা সজ্জন কুমারের জামিনের আর্জি শুক্রবার খারিজ করে এমনটাই জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের আর্জি জানিয়েছিলেন তিনি।
তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর হত্যার পর ১৯৮৪ সালে কার্যত শিখনিধন যজ্ঞ চলেছিল দেশে। সেই অশান্তি চলাকালীন দিল্লীর একই পরিবারের পাঁচজনকে খুনের ঘটনায় কংগ্রেস নেতা সজ্জন কুমারের নাম জড়ায়। এমনকী, সেখানকার একটি গুরুদ্বারে হামলার ঘটনায়ও অভিযুক্ত হন তিনি। সেইসময় দিল্লীর রাজনগরেরই সাংসদ ছিলেন সজ্জন কুমার। সেই মামলায় ২০১৩ সালে নিম্ন আদালতে রেহাই পান। কিন্তু একই মামলায় ২০১৮ সালে দিল্লী হাই কোর্ট তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে এবং যাবজ্জীবনের সাজা শোনায়। হাই কোর্টের সেই রায়কেও শীর্ষ আদালতে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন সজ্জন কুমার। তবে মহামারী পরিস্থিতিতে সেই শুনানি বন্ধ রয়েছে। ইতিমধ্যে শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে জামিন চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সজ্জন কুমারের আইনজীবী বিকাশ সিংহ।
এদিন শীর্ষ আদালতে বিকাশ সিংহ জানান, গত ২০ মাস ধরে জেলে বন্দী রয়েছেন ৭৪ বছরের সজ্জন কুমার। এর মধ্যেই বার্ধক্যজনিত কারণ এবং শারীরিক অসুস্থতার জেরে ১৬ কেজি ওজন কমেছে তাঁর। হাসপাতালে রেখেই তাঁর চিকিৎসা হওয়া উচিত বলেও সওয়াল করেন বিকাশ। তাঁর এই সওয়ালের বিরোধিতার করেন অশান্তিতে ক্ষতিগ্রস্তদের পক্ষের আইনজীবী এইচ এস ফুলকা। তিনি জানান, হাসপাতালে ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পেয়ে গিয়েছেন সজ্জন কুমার।
শেষ পর্যন্ত জামিনের আর্জি খারিজ করে প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে বলেন, ‘এটা কোনও ছোটখাটো মামলা নয়। জামিন মঞ্জুর করা সম্ভব নয়।’ আদালতের তরফে জানানো হয়, সজ্জন কুমারের ডাক্তারি পরীক্ষার রিপোর্ট স্বাভাবিক। তাঁকে হাসপাতালে রাখা প্রয়োজন, এমনটা কোথাও বলা নেই। তাই তাঁর আর হাসপাতালে থাকার প্রয়োজন নেই।