এতদিন যা হয়নি, মোদী জমানায় এবার সেটাই হয়েছে। দীর্ঘ ৩৪ বছরের শিক্ষানীতিকে আমূলে বদলে ফেলতে চলেছে মোদী সরকার। যা নিয়ে দেশজুড়ে শুরু হয়ে গিয়েছে তীব্র সমালোচনা। কেউ বলছেন, অসঙ্গত। কেউ বলছেন, স্বৈরতান্ত্রিক। কেউ বলছেন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আবার কেউ বলছেন, গৈরিক। দিল্লী থেকে ঘোষিত জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে বিরোধী নেতা-নেত্রী থেকে শুরু করে শিক্ষাবিদ, শিক্ষক সংগঠন, শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত মানুষের এটাই মতামত। অনেকেই বলেছেন, শিক্ষা একটি যৌথ বিষয়। সেখানে রাজ্যের সঙ্গে কোনও আলোচনা ছাড়া কী করে এমন ঘোষণা করতে পারে কেন্দ্র? এবার এ প্রসঙ্গে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানালেন, নতুন শিক্ষানীতি নিয়ে রাজ্য সরকার একটি কমিটি তৈরি করছে। সেই কমিটির রিপোর্টের ওপরে ভিত্তি করেই সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য।
শিক্ষাবিদ সৌগত রায়, নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি, সব্যসাচী বসু রায় চৌধুরী, অভিক মজুমদার, পবিত্র সরকার এবং সুরঞ্জন দাসকে নিয়ে গঠিত কমিটি আগামী ১৫ আগস্টের মধ্যে রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট জমা দেবে বলেও জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। এদিন বেহালায় রাখিবন্ধন উদযাপন অনুষ্ঠানে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘কেন্দ্রের নয়া শিক্ষা নীতি নিয়ে আমাদের আপত্তি রয়েছে। আমরা লিখিত আকারে সেটা কেন্দ্রকে জানিয়েছিলাম। নতুন শিক্ষানীতি চালু করতে গেলে আগে অনেক কিছু করতে হবে। পাঁচ বছরে এই শিক্ষানীতি চালু করা সম্ভব নয়।’ কেন্দ্র এই নীতি গঠনের আগে রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা করেনি বলেও অভিযোগ পার্থর। তিনি বলেন, ‘পড়াশোনার নিয়ম নীতি পরিবর্তন হল কিন্তু তা নিয়ে কোনও আলাপ-আলোচনা হল না। এই ভাবে জাতীয় শিক্ষানীতি চালু করা যায় না।’ নয়া নীতি লাগু করতে পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য যে খরচ হবে তা কারা বহন করবে তা নিয়েও এদিন প্রশ্ন তোলেন মন্ত্রী।