করোনা ভাইরাসের আবহে এবার পকেটে টান পড়েছে ভারতীয় ক্রিকেটারদেরও। জানা গেছে, গত ১০ মাস ধরে বেতন পাননি ভারতীয় ক্রিকেটাররা। যার ফলে ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স তলানিতে। সূত্রের খবর, গত বছর অক্টোবর থেকে বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মাদের বেতন আটকে রেখেছে বিশ্বের অন্যতম ধনী ক্রিকেট সংস্থা বিসিসিআই। এই খবর ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ক্রিকেট মহলে। তবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে এখনও সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি।
বোর্ডের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারের সংখ্যা ২৭। প্রতি চার মাস অন্তর বেতন পান তাঁরা। এই বাবদ বোর্ডের বার্ষিক খরচ হয় ৯৯ কোটি টাকা। কিন্তু ভারতীয় দলের জনা দশেক ক্রিকেটার সম্প্রতি জানিয়েছে, তাঁরা গত দশ মাসে এক টাকাও বেতন পাননি। এই বিষয়ে বিসিসিআইয়ের কোষাধ্যক্ষ অরুণ ধুমালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, এ ব্যাপারে তিনি কোনও উত্তর দিতে চাননি। অথচ গত মার্চে লকডাউন শুরুর সময় বোর্ডকর্তারা বলেছিলেন, ক্রিকেটারদের বেতন ও প্রাপ্য অর্থ যথা সময়ে মিটিয়ে দেওয়া হবে। এর উপর কোভিডের কোনও প্রভাব পড়বে না।
তারপর কেটে গিয়েছে আরও চার মাস। কিন্তু কোহলি, রোহিতরা বেতন থেকে এখনও বঞ্চিত থেকে গিয়েছেন। এ যেন প্রদীপের নীচে অন্ধকার! ২০১৮ সালের মার্চ মাসের তথ্য অনুযায়ী, নগদ ও ব্যাঙ্ক ব্যালান্স মিলিয়ে মোট ৫৫২৬ কোটি টাকা রয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের। ফিক্সড ডিপোজিটের পরিমাণ প্রায় ২৯৯২ কোটি টাকা। তার উপর ২০১৮ সালে সম্প্রচারকারী সংস্থার সঙ্গে নতুন চুক্তির ফলে বিসিসিআই আরও প্রায় ৬১৩৮ কোটি টাকা পেয়েছে। তাই প্রশ্ন উঠছে, ক্রিকেটারদের প্রাপ্য বেতন কেন আটকে রাখা হয়েছে?
অবশ্য ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডে এখন চূড়ান্ত ডামাডোল অবস্থা চলছে। গত সপ্তাহেই বোর্ড সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও সচিব জয় শাহর মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। তাঁরা আদৌ আর পদে থাকতে পারবেন কিনা, তা এখন নির্ভর করছে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের উপরে। তাছাড়া দীর্ঘদিন ধরে বোর্ডের কোনও ফিনান্সিয়াল অফিসার নেই। গত মাসে জেনারেল ম্যানেজার এবং সিইও’কে একপ্রকার জোর করেই পদত্যাগ করানো হয়েছে। এই অবস্থায়, বেতন সমস্যা কীভাবে মিটবে তা নিয়ে ঘোর দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা।