সামনেই ফাইনাল। তার আগে জনসংযোগ বাড়াতে ফের তৃণমূলের রাজনৈতিক কর্মসূচীকেই নকল করে প্রচারে নামল বিজেপি। এবার তাদের টার্গেট ‘সোজা বাংলায় বলছি’।
এর আগে বাংলার মেয়েদের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুরষ্কার জয়ী প্রকল্প ‘কন্যাশ্রী’র আদলে ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ প্রকল্পের ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রের মোদী সরকার। ‘দিদিকে বলো’-র অনুকরণে ‘বিজেপিকে বলো’ কর্মসূচিও চালিয়েছে বঙ্গের গেরুয়া শিবির। অবশ্য, ওয়াকিবহাল মহল বলে, বাংলায় ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে তৃণমূলের ‘দিদিকে বলো’। সেই ‘সাফল্যের’ জন্য গেরুয়া শিবিরও তৃণমূলের পথে হাঁটছে। জোড়াফুল শিবিরের কর্মসূচী নকল করতে বাধ্য হচ্ছে। তাই ‘সোজা বাংলায় বলছি’কে নকল করে প্রচারে নেমে পড়েছেন বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়, দেবজিৎ সরকার, সৌমিত্র খাঁ’দের মতো গেরুয়া শিবিরের নেতারা।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এখনও পর্যন্ত বঙ্গ বিজেপি এমন কোনও কর্মসূচি আনতে পারেনি যা বাংলার মানুষের প্রাণ ছুঁয়ে যায়। বাঙালিকে দিশা দেখায়। সেদিক থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একশোয় একশো। ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান থেকে কৃষকদের জন্য কৃষকবন্ধু, আনন্দধারা, সেচ বন্ধু, আবার মেয়েদের জন্য কন্যাশ্রীর, রুপশ্রী, পড়ুয়াদের জন্য সবুজসাথী, অসুস্থদের জন্য স্বাস্থ্যসাথী – একের পর এক সুপারহিট প্রকল্প। তাই ইতিবাচক প্রভাবের জন্য তৃণমূলের রাজনৈতিক মডেলকেই অনুকরণের চেষ্টা করছে বিজেপি।’
গত রবিবার সকালে তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা তথা প্রধান জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ ব্রায়েন। ছোট-ছোট ভিডিওর মাধ্যমেও মমতার শাসনকালের ৯ বছরের কাজকে তুলে ধরার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এতে। ছোটছোট এই ভিডিওগুলিতে বাংলার সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক বিষয়ের প্রাসঙ্গিক ক্ষেত্রগুলির উপর জোর দিতে চান ডেরেক। তাঁর কথায়, ‘বিভিন্ন ইস্যুতে যেভাবে বাংলার নিন্দা করছে বিজেপি, তাতে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হচ্ছে, গোটা দেশের কাছেও নত হচ্ছে বাংলার সম্মান। তাই বাংলা থেকেই সেগুলির জবাব দেওয়া হবে বাংলা ভাষাতেই।’ বাড়িয়ে বলা কোনও দাবি নয়, বরং বাংলায় বাস্তবে যা হয়েছে, সেইটুকুই ভিডিওগুলিতে তুলে ধরা হবে বলে জানিয়েছেন ডেরেক।
এই কর্মসুচীকেই নকল করে প্রচারে নেমেছেন বাবুল সুপ্রিয়রা। সমালোচকরা বলছেন, এক্ষেত্রেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখানো জনসংযোগের পথকেই হাতিয়ার করল বিজেপি। বলা ভালো, বাধ্য হল।