করোনা পরিস্থিতির জেরে গত ৪ মাস ধরে লকডাউন জারি রয়েছে। এই সময় রাজ্যের এক জনকেও যাতে অভুক্ত অবস্থায় থাকতে না হয়, সে জন্য বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চালু করা খাদ্যসাথী প্রকল্পকেই এই দুর্দিনে অবলম্বন করছে নবান্ন। সেই লক্ষ্যে রাজ্যের আরও অন্তত ৬৭ লক্ষ মানুষকে ডিজিটাল রেশন কার্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে খাদ্য দফতর। মুখ্যমন্ত্রীর পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আগামী এক বছর তাঁরাও বিনামূল্যেই রেশনের চাল-গম পাবেন।
খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এদিন জানান, অনেকের কাছে কাগজের পুরোনো রেশন কার্ড রয়েছে। ডিজিটাল কার্ড না-থাকায় রেশন পাচ্ছিলেন না। করোনা পরিস্থিতিতে সরকার থেকে তাঁদের স্পেশাল কুপন দেওয়া হয়েছিল। সেটা দেখিয়ে তাঁরা তিন মাসের জন্য বিনামূল্যে রেশন পেয়েছেন। তবে তাঁদের অনেকেরই ডিজিটাল কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা রয়েছে। তাঁদের পাকাপাকি ভাবে ডিজিটাল কার্ড দেওয়া হবে। সে জন্য নির্দিষ্ট ফর্মে আবেদন করতে হবে। ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে আবেদনের ফর্ম পূরণ করে খাদ্য দফতরে পাঠাতে হবে ব্লক আধিকারিকদের। ১৫ আগস্ট থেকে কার্ড বিলি শুরু হবে।
খাদ্য দফতরের নির্দেশিকা অনুযায়ী, প্রশাসনের লোকেরাই এইসময় ফর্ম নিয়ে বাড়ি বাড়ি যাবেন। যাঁরা ফর্ম পূরণ করতে পারবেন না, তাঁদের সাহায্য করবেন এই আধিকারিকরাই। হাতে হাতে ফর্ম সংগ্রহ করে চলতি মাসের মধ্যেই তালিকা পাঠিয়ে দিতে হবে খাদ্য দফতরে। সেই মতো ডিজিটাল কার্ড ছাপিয়ে ডাক মারফৎ পাঠানো হবে বাড়ি-বাড়ি। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় এই কাজ সম্পূর্ণ করতে জেলায় জেলায় নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, এই সব গ্রাহককে খাদ্যসুরক্ষা যোজনা ২-র অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
তবে নতুন কার্ড ইস্যুর সময়ে যাতে ভুয়ো নাম ঢুকে না পড়ে, সে জন্যও সতর্ক থাকছে খাদ্য দফতর। খাদ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, “নতুন কার্ড ইস্যুর আগে খাদ্য দফতরের আধিকারিকরা দেখে নেবেন, একই নামে ডিজিটাল কার্ড রয়েছে কি না। ডিজিটাল রেশন কার্ডের জন্য আবেদন করতে হলে ভোটার পরিচয়পত্র, আধার কার্ড এবং পুরোনো রেশন কার্ডও দেখাতে হবে। সমস্ত শর্ত পূরণ করলে তবেই মিলবে কার্ড।”