বেশ কিছুদিন ধরেই বিকাশ দুবের এনকাউন্টার ইস্যুতে বিতর্কের শিরোনামে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। এরই মধ্যে এবার সামনে এল যোগীর পুলিশের আরেক কাণ্ড। পুলিশের কথামতো যোগাড় করা হয়েছিল মুক্তিপণ হিসেবে দাবি করা ৩০ লক্ষ টাকা। কথা ছিল অপহরণকারী টাকা নিতে এলেই তাকে ধরবে তারা। কিন্তু কিডন্যাপার এল, টাকা নিয়ে চলেও গেল। না তাকে ধরতে পারল পুলিশ, না উদ্ধার করতে অপহৃত ব্যক্তিকে। এমনই চরম লজ্জাজনক ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের কানপুরে।
প্রসঙ্গত, গত ২২ জুন কানপুরের একটি প্যাথলজি ল্যাবে কর্মরত ২৯ বছরের এক ব্যক্তিকে অপহরণ করা হয়। অপহরণের পর ৩০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে ফোন আসে ওই ব্যক্তির বাড়িতে। টাকা না পেলে অপহৃতকে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়। অপহরণের পর থেকে টাকা চেয়ে অন্তত ১৫ বার ফোন করে ওই ব্যক্তি। এই বিষয়ে কানপুরের বারা পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ জানান অপহৃতের বাড়ির লোকজন। ওই ব্যক্তির পরিবারের অভিযোগ যে পুলিশ তাঁদের ধৈর্য্য ধরতে বলেন। মুক্তিপণের টাকা যোগাড় করে তা অপহরণকারীর কথামতো নির্দিষ্ট স্থানে নিয়ে যেতেও নির্দেশ দেয় পুলিশ। অপহরণকারী টাকা নিতে এলেই আশপাশে লুকিয়ে থাকা পুলিশকর্মীকা তাকে ধরবেন বলে আশ্বাস দেওয়া হয়। কিন্তু গত সোমবার পরিকল্পনামতো কিছুই হয় না।
অপহৃতের বোন জানিয়েছেন, ‘আমরা টাকাও দিয়ে দিলাম, কিন্তু দাদাকেও ওরা এখনও ছাড়েনি। পুলিশ সমানে বলে যাচ্ছে যে ওই টাকা তারা উদ্ধার করে দেবে। কিন্তু আমাদের আসল লক্ষ্য তো দাদাকে আগে ফিরে পাওয়া। আমরা যখন টাকা দিতে গেলাম পুলিশদের একটা দল আমাদের সঙ্গে ছিল। মুক্তিপণের টাকা দেওয়ার আগে অপহরণকারী আমার বাবার ফোনে ফোন করে অন্তত ৩০ মিনিট কথা বলেছে। ওরা বাবাকে বাধ্য করল ফ্লাইওভারের ওপর থেক নীচে রাস্তার ওপর টাকার ব্যাগ ছুঁড়ে ফেলতে। পুলিশ কি আগে থেকে কিছুই আন্দাজ করতে পারেনি?’ নিম্নমধ্যবিত্ত ওই পরিবার জানিয়েছে যে বিপুল ধারদেনা করে এবং গয়না বিক্রি করে এই টাকা তাঁরা জোগাড় করেছিলেন। মঙ্গলবার এই ঘটনার প্রতিবাদে কানপুরের পুলিশ প্রধান দীনেশ কুমারের অফিসের বাইরে তাঁরা প্রতিবাদ-বিক্ষোভ করেন। এরপরই এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়।