করোনা সংক্রমণ রোধ করতে চলছে লকডাউন। কিন্তু তাই বলে বাংলার উন্নয়ন থেমে নেই। যেমন এই লকডাউনের মধ্যেই রাজ্যের উদ্যোগে সবুজ সাথী প্রকল্পের সাইকেল বিতরণ করা চলছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায়। জেলাশাসক রেশমি কোমলের নির্দেশে বিডিও অফিসের মাধ্যমে সাইকেল পৌঁছে দেওয়া শুরু হয়েছে ছাত্রছাত্রীদের কাছে। অন্য কর্মীদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন বিডিওরাও। জেলায় এক হাজার মতো সাইকেল দেওয়া বাকি ছিল লকডাউন শুরু হওয়ার আগে।
লকডাউন, ধাপে ধাপে তা শিথীল হওয়া এবং আনলক পর্ব চালু হওয়া – সব মিলিয়ে প্রায় তিন মাস। জরুরি পরিষেবা ছাড়া অন্য সব সরকারি কাজকর্ম কার্যত বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এখনও বন্ধ রয়েছে রাজ্যের সব স্কুল ও কলেজ। মূলত লকডাউনের ফলে রাজ্য সরকারের সবুজ সাথী প্রকল্পের অধীন সাইকেল ছাত্রছাত্রীদের দেওয়া বন্ধ হয়ে যায় পুরো রাজ্যে। আনলক পর্ব চললেও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করায় কন্টেনমেন্ট জোনগুলিতে লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার।
এই অবস্থায় কী ভাবে সবুজ সাথী প্রকল্পের অধীন সাইকেল দেওয়া হবে তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছিল বিভিন্ন মহলে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় লকডাউনের মধ্যেই অধিকাংশ সাইকেল বিলি হয়ে গেলেও বেশ কিছু সাইকেল বিলি বাকি থেকে গিয়েছিল লকডাউনের জন্য। মুখ্যমন্ত্রী সম্প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন ছাত্রছাত্রীদের বাড়িতে গিয়ে পৌঁছে দিতে হবে সাইকেল। ব্লক অফিসের কর্মীরা সেই সাইকেল পৌঁছে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছেন।
সাইকেল প্রদান প্রকল্প নতুন করে সূচনা করেন বিভিন্ন ব্লকের বিডিও এবং স্থানীয় বিধায়করা। গড়বেতাতেও ছাত্রছাত্রীদের বাড়িতে সাইকেল নিয়ে হাজির হন তাঁরা। গড়বেতা এক নম্বরের ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক শেখ ওয়াসিম রেজা নিজে সাইকেল চালিয়ে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে আমলাগোড়া এলাকায় গিয়ে বেশ কয়েক জন ছাত্রছাত্রীর বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে আসেন সাইকেল। তাঁর সঙ্গে ছিলেন যুগ্ম ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক এবং স্থানীয় বিধায়ক আশিস চক্রবর্তী।
আশিস চক্রবর্তী বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো আমরা সবুজ সাথী প্রকল্পের আওতাধীন সাইকেল ছাত্রছাত্রীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পৌঁছে দেওয়া শুরু করেছি।’ আর ওয়াসিম রেজা জানান, ‘গড়বেতা এক নম্বর ব্লক এলাকায় সবুজ সাথী প্রকল্পের প্রায় দেড়শো সাইকেল দেওয়া বাকি ছিল। প্রশাসনের নির্দেশ অনুযায়ী সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আমার নিজেরও অনেক হল দিন সাইকেল চালানো হয়নি তাই সাইকেল চালিয়ে খুব ভাল লাগছে।’