করোনা সংক্রমণ রোধ করতে মার্চের শেষে দেশ জুড়ে শুরু হয়েছিল একটানা লকডাউন। যার ফলে বাজারে ভোগ্যপণ্যের চাহিদা প্রায় শূন্যে নেমে এসেছিল। জুনে লকডাউন শিথিল হলেও সংক্রমণ বাড়তে থাকায় জুলাইয়ে ফের দেশের নানা জায়গায় শুরু হয়েছে লকডাউন। এইরকম ‘আঞ্চলিক লকডাউন’-এ বাজারে ফের কমেছে চাহিদা।
জুলাইতে কলকাতা-সহ পশ্চিমবঙ্গের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে শুরু হয়েছে লকডাউন। পুনে ও বেঙ্গালুরুতেও লকডাউন চলছে। শিল্পপতিমহলের আশঙ্কা, কিছুদিন অন্তর যদি আঞ্চলিক প্রশাসন এমন লকডাউন জারি করতে থাকে, তাহলে চলতি ত্রৈমাসিকে চাহিদা ব্যাপক হারে কমবে।
গত ১১ জুলাই থেকে বেঙ্গালুরুতে সন্ধ্যা আটটা থেকে জারি হচ্ছে কার্ফু। সব দোকান বন্ধ করতে হচ্ছে সাতটার মধ্যে। ১৪ থেকে ২৩ জুলাই লকডাউন থাকবে পুনেতে। গত রবিবার উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন জানিয়েছে, সপ্তাহের শেষে দু’দিন বন্ধ থাকবে প্রতিটি দোকান। বিহারে অত্যাবশ্যকীয় নয় এমন পণ্যের মাত্র ৫০ শতাংশ দোকান খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
আইটিসি-র এক মুখপাত্র বলেন, বিভিন্ন রাজ্যে দফায় দফায় লকডাউন জারি করা হচ্ছে। এর ফলে সাময়িকভাবে ম্যানুফ্যাকচারিং ও সাপ্লাই চেন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি যাতে প্রতিটি রাজ্যে আমাদের পণ্যের যথেষ্ট স্টক থাকে। ব্রিটানিয়া ইন্ডাস্ট্রিজের ম্যানেজিং ডিরেক্টর বরুণ বেরি বলেন, ঘন ঘন লকডাউন হলে ব্যবসায় বাধা সৃষ্টি হবে। আমাদের কাজ করাই অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে।
মেট্রো ক্যাশ অ্যান্ড ক্যারির ম্যানেজিং ডিরেক্টর অরবিন্দ মেদিরাত্তা বলেন, উত্তরপ্রদেশ, কর্ণাটক, পাঞ্জাব ও ইন্দোরে সপ্তাহ শেষের বিক্রি ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ কমে গিয়েছে। জুনে এবং জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে চাহিদা বেড়েছিল। এখন তা ফের নিম্নমুখী। বিভিন্ন রাজ্যে ঘন ঘন লকডাউন করা হচ্ছে। এর ফলে আমরা কোনও পরিকল্পনা করতে পারছি না।
জুনের তুলনায় জুলাইতে মোবাইল ফোনের বিক্রি কমেছে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ। অল ইন্ডিয়া মোবাইল রিটেলার অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট অরবিন্দ খুরানা বলেন, আঞ্চলিক লকডাউনে আমাদের ইন্ডাস্ট্রির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আগামী দিনে দোকান খুললেও মোবাইলের চাহিদা কতদূর বাড়বে সন্দেহ আছে।