উপমহাদেশের বাইরে ট্রফি জিতে ফেরার অনুভূতি কী রকম হতে পারে, তা ভুলেই গিয়েছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীরা। ২০০২ ন্যাটওয়েস্ট ট্রফি জিতে সেই অনুভূতি ফিরিয়ে আনেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই ম্যাচে উদয় হয় মহম্মদ কাইফের। দাদার ধমকেই জেতার খিদে তৈরি হয়, বললেন কাইফ।
কী রকম ছিল সে দিনের অনুভূতি? জয়ের পরে কখন থামে উৎসব? যুবরাজের সঙ্গে জুটি গড়ার সময় দু’জনের মধ্যে কী কথা হয়? কাইফ জানালেন, ‘‘ফাইনালে আমরা প্রচুর রান দিয়ে ফেলি। সে সময় ৩২৬ রান তাড়া করার কথা কেউ ভাবত না। বিরতিতে ড্রেসিংরুমে ফেরার পরে প্রত্যেককে ডাকে দাদা। আমাদের ধমকও দেয়, প্রশ্ন করে কেন এ রকম বোলিং হল।’’ কাইফ যোগ করেন, ‘‘একই সঙ্গে বলে, ‘ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। উইকেট ভাল। এখান থেকে অবশ্যই জেতা যায়। চেষ্টা করব প্রথম ১৫ ওভারের মধ্যে বিনা উইকেটে ৮০ রান তোলার। নতুন বলের বিরুদ্ধে উইকেট ছুড়ে না দিলেই কাজ অনেকটা সহজ হয়ে যাবে।’ ওপেন করতে নেমে ৬০ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে দাদাই কিন্তু জয়ের ভিত তৈরি করেছিল।’’
সচিন, দ্রাবিড় দ্রুত ফিরে যাওয়ার পরে যুবরাজের সঙ্গে ম্যাচ জেতানোর দায়িত্ব নিতে হয় তাঁকে। কী কথা হয়েছিল দু’জনের মধ্যে? কাইফ বলে দিলেন, ‘‘আমাদের মধ্যে অদ্ভুত জেদ কাজ করেছিল। যুবিকে বলেছিলাম, এই সুযোগ হাতছাড়া করা যাবে না। আমরা ছোট শহরের ছেলে, নিজেদের প্রমাণ করতে গেলে বড় কিছু করতে হবে। এমনিতে দাদা বরাবরই তরুণ ক্রিকেটারদের উপরে আস্থা রাখত। দাদার সেই আস্থার মর্যাদা দিতে চেয়েছিলাম শেষ ম্যাচে।’’ যোগ করেন, ‘‘কপিল পাজিকে দেখেছিলাম ১৯৮৩ সালে বিশ্বকাপ জিতে লর্ডসের ব্যালকনিতে কাপ তুলতে। সেই দৃশ্য ছিল প্রত্যেকের অনুপ্রেরণা। চেয়েছিলাম দাদাকেও যেন লর্ডস থেকে খালি হাতে না ফিরতে হয়”।