পাঁচ-দশবার নয়। পরপর ২৮বার শরীরে ছুরি বসিয়ে ‘হত্যা’ করা হল ২৫ বছরের এক যুবককে। তাও আবার রাজধানীর রাস্তায়। গোটা ঘটনা দেখেও পাশ কাটিয়ে চলে যান পথচারীরা। রাস্তার সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে সেই নৃশংস দৃশ্য। যা দেখে শিউরে উঠছেন নেটিজেনরা।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম মণীশ। রঘুবীর নগরের বাসিন্দা পেশায় গাড়িচালক। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসকরা তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। এদিকে, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তিন অভিযুক্তকেই চিহ্নিত করা সম্ভব হয়। পরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। উদ্ধার করা হয়েছে খুনে ব্যবহৃত ছুরিও। অভিযুক্ত তিনজনেরই বয়স ১৭ বছর। মণীশের বাড়ির সামনের রাস্তায় মাঝেমধ্যেই বাইক নিয়ে স্টান্ট করত তারা। মণীশ আপত্তি জানালে শেষমেশ এই পরিণাম হয়। ঘটনার নৃশংসতায় প্রশ্ন উঠে, অন্যায়ের প্রতিবাদ করা কি ছেড়ে দিয়েছে সমাজ?
ঘটনাটি ঘটে গত ৮ জুলাই দিল্লীর রঘুবীর নগরে। এক নাবালক ও তার দুই বন্ধু মিলে ওই যুবককে খুন করে বলে অভিযোগ। অপরাধ? নাবালক ও তার বন্ধুদের রাস্তার মধ্যে বাইক নিয়ে স্টান্ট করতে নিষেধ করেছিলেন তিনি। বলেছিলেন, এতে প্রাণের ঝুঁকি রয়েছে। কিন্তু সতর্ক করতে নিয়ে যে নিজের প্রাণই খোয়াতে হবে, ভাবতেও পারেননি তিনি। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, মাঝরাস্তায় ছুরিকাঘাত করতে করতেই যুবককে মাটিতে ফেলে দেয় একজন। তারপর ক্রমাগত কোপ বসায় তাঁর শরীরে। সে সময় নাবালক এতটাই ক্ষোভে ফুসছিল যে নিথর দেহেও ছুরি বসাতে থাকে। অন্যজন আটকালে তার বাধা না মেনে ফের ছুরিকাঘাত করে। ঘটনাটি যখন ঘটছে তখন আশপাশ দিয়ে চলে যাচ্ছে একাধিক গাড়ি-মোটরবাইক। পথচারীরাও আড় চোখে ঘুরে তাকাচ্ছে, কিন্তু কোনও প্রতিবাদ করছে না। সকলেই নীরব দর্শক। এমনকী অভিযুক্তরা চলে যাওয়ার পরও সেই ‘দেহে’র দিকে কেউ এগিয়ে যাননি।