শুক্রবার ভোরে মধ্যপ্রদেশ থেকে নিয়ে আসার সময় কুখ্যাত গ্যাংস্টার বিকাশ দুবেকে এনকাউন্টারে খতম করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই চরমে উঠেছে বিতর্ক। দেশের বিরোধীরা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন, বিকাশ দুবের এনকাউন্টার পুলিশকর্মীদের সাজানো। বিকাশের নানাবিধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে প্রশাসন এবং রাজনৈতিক মহলের যোগ থাকায় পরিকল্পনা করেই হত্যা করা হয়েছে তাকে। যাতে বহু পাকা মাথাকে রেহাই দেওয়া যায়। আজ বিরোধীদের তরফে এহেন অভিযোগ তোলা হলেও, বিকাশের যে এনকাউন্টার হতে পারে তেমন সম্ভাবনা প্রকাশ্যে এসেছিল আগেই। এই নিয়ে মামলাও দায়ের হয় দেশের শীর্ষ আদালতে। এবং এই জনস্বার্থ মামলায় উত্তরপ্রদেশে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছিল।
সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে আদালতে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন ঘনশ্যাম উপাধ্যায় নামের এক আইনজীবী। এই মামলায় বিকাশ দুবের এনকাউন্টার করা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন তিনি। মিডিয়া রিপোর্টের তথ্য তুলে জানানো হয় বিকাশ মহাকাল মন্দিরে থাকার কথা জানিয়েছিল গার্ডকে। পুলিশকে নিজে থেকেই তথ্য দিয়েছিল সে, যাতে তাকে এনকাউন্টারে হত্যা না করা হয়। এই মামলার তদন্ত সিবিআইয়ের তত্ত্বাবধানে করার আবেদন জানানো হয় আদালতের কাছে। উত্তরপ্রদেশে পুলিশের ওপর সন্দেহ প্রকাশ করে জনস্বার্থ মামলায় জানানো হয়, আদালতে এটা নিশ্চিত করা হোক যাতে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ এনকাউন্টারে হত্যা না করে। যদিও এই মামলার শুনানি হওয়ার আগেই শুক্রবার সকালে মধ্যপ্রদেশের কাছে এনকাউন্টারে হত্যা করা হয় বিকাশ দুবেকে।