২০১৯ সালে জম্মু কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সেনা কনভয়ের ওপর জঙ্গী হামলার ঘটনার স্মৃতি এখনো দগদগে সাধারণ মানুষের মনে। সেই ঘটনার পরে একাধিকবার সেনা কনভয়ে হামলা চালানোর চেষ্টা চালিয়েছে জঙ্গীরা। গতকাল রাতে ফের একবার সেই প্রচেষ্টা করা হল। এবারও ঘটনাস্থল সেই পুলওয়ামা। ফের একবার ভারতীয় সেনার একটি কনভয়ে হামলা চালাল সন্ত্রাসবাদীরা। কারো মৃত্যু না হলেও গুরুতর আহত হয়েছেন একজন জওয়ান-সহ পথচারী এক মহিলা। তারা এই মুহূর্তে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
তবে সন্ত্রাসবাদীরা হামলা করেই পালতে পারেনি। পাল্টা আক্রমণ চালায় ভারতীয় সেনাবাহিনীও। দু’পক্ষের গুলিগোলাতেই আহত হয়েছেন ওই মহিলা পথচারী। ফের একবার কনভয় হামলার ফলে জম্মু-কাশ্মীরে সর্তকতা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় সেনা। ওই এলাকায় শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান। বেশ কিছু মাস ধরেই জম্মু কাশ্মীরে ফের উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। সীমান্ত বরাবর নজরদারি বাড়ানোর পরেও পাক সেনাবাহিনীর সীমান্ত বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত করছে।
সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার ভারতীয় সেনার কুইক রিঅ্যাকশন টিমের একটি কনভয়ের উপর হামলা চালিয়েছে জঙ্গীরা। সেই হামলাতেই এই টিমের এক জওয়ান গুরুতরভাবে জখম হয়েছেন। একই সঙ্গে গুলি লেগেছে পথচারী এক মহিলার। তাদের দুজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল। সূত্রের খবর, অবন্তিপোড়ার লেখপোরায় লড্ডু মোড়ের কাছে এই হামলা হয়। সেই সময় ভারতীয় সেনার কুইক রিঅ্যাকশন টিমের একটি অ্যাম্বুলেন্স আসছিল।
তবে এই হামলায় কেউ প্রাণ না হারালেও গত মঙ্গলবারের হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন এক সেনা। মঙ্গলবার জম্মু ও কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ভারতীয় সেনার ছাউনি লক্ষ করে হামলা চালায় পাক রেঞ্জার্স। রাজৌরি জেলায় নৌসেরা সেক্টরে এই হামলার ঘটনায় গুরুতর আহত হন হাবিলদার সম্বুর গুরুং। আহত অবস্থায় তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়েও যাওয়া হয়। যদিও শেষরক্ষা করা যায়নি। তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। শেষ পাওয়া খবরের মতে, এখনও দু’দেশের বাহিনীর মধ্যে গুলি বিনিময় চলছে নৌসেরা সেক্টরে।