আজ সকালেই উত্তরপ্রদেশ পুলিশের সাথে এনকাউন্টারে নিহত হয়েছেন কানপুরের কুখ্যাত দুষ্কৃতী বিকাশ দুবে। আর তারপরই তাঁর বেশ কিছু পুরোনো রেকর্ডের তথ্য সামনে এল। যেমন, ২০০১ সালে কানপুরের দেহাতে শিবলি থানার ভিতর ঢুকে বিজেপি নেতা সন্তোষ শুক্লাকে মেরেছিল বিকাশ দুবে। সন্তোষ তখন উত্তরপ্রদেশের প্রতিমন্ত্রী। এফআইআর হয় বিকাশের নামে। ছ’মাস পর ধরা দেয় বিকাশ। চার বছর পর খালাস। কারণ নিহত নেতার সহকারীরাই বিকাশের পক্ষে বয়ান দেয়।
আবার তার ২ বছর আগে, ১৯৯৯ সালে বিকাশ ঝুন্না বাবা নামে এক ব্যক্তিকে খুন করে। তাঁর জমি দখল করে নেয়। এমনকি ২০০০ সালে তাঁর কলেজের শিক্ষককেও খুন করে বিকাশ। তারাচাঁদ ইন্টার কলেজের প্রাক্তন অধ্যাপক ছিলেন তিনি। কয়েক মাস জেল খাটেন। তারপর যথারীতি মুক্তি মিলে যায়।
তবে সন্তোষ শুক্লার খুনই বিকাশকে সেইসময় ‘কুখ্যাত’ করে তুলেছিল। এর পর থেকেই রাজনৈতিক মহলে ক্রমশ ওঠাবসা শুরু হয় বিকাশের। ২০০২ সালে প্রতিপক্ষ লাল্লান বাজপেয়ীকে খুন করতে গিয়ে ব্যর্থ হয় সে। বাজপেয়ী পঞ্চায়েতের অধ্যক্ষ ছিলেন। কেবল অপারেটর দীনেশ দুবেকে খুন করে বিকাশ। মাত্র ২০ হাজার টাকা নিয়ে ঝামেলার জন্য। সেইসময় ২০০৬ সালে একটি সাক্ষাৎকারে বিকাশ জানায়, ১০ বছর ধরে বিকরু গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান সে। তার পর সে জেলা পঞ্চায়েতের সদস্য হয়। তখন বিকরু গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান হয় তাঁর ভাই। ভাইয়ের স্ত্রী পাশের ভিতি গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান হয়। প্রসঙ্গত, এই বিকরু গ্রামেই বিকাশের ডেরাতে গিয়ে গুলিতে নিহত হন আট পুলিশ কর্মী।
গ্যাংস্টারদের ধরার জন্য উত্তরপ্রদেশ সরকার কড়া আইন আনে। সেই সব আইনেই (উত্তরপ্রদেশ গ্যাংস্টার আইন, গুণ্ডা আইন) মামলা হয়েছে বিকাশের বিরুদ্ধে। সবই কানপুর এবং কানপুর দেহাতে। শুধু একটি মামলা দায়ের হয়েছে সাহারানপুর এবং একটি লখনউতে। লখনউয়ের মামলা এখনও চলছে। সাহারানপুরের মামলায় খালাস হয়েছে সে। সন্তোষ শুক্লা খুনে দুবে সহ আট জনের নামে চার্জশিট দায়ের হয়। তিন জন পুলিশকর্মীরও নাম ছিল। ২০০৩ সালে প্রমাণের অভাবে সকলকে খালাস করে দেয় স্থানীয় আদালত। তেমনই প্রত্যেকবার এভাবে প্রমাণের অভাবেই ছাড়া পেয়ে যায় বিকাশ দুবে।