ছেলের নক্কারজনক কাজকর্মের কথা জেনেছে গোটা দেশ৷ লম্বা সময় ধরে এলাকার ত্রাস হয়ে ওঠা বিকাশ দুবের কার্যকলাপ সকলের মুখে মুখে ঘুরছে৷ শুক্রবার উজ্জয়িনী থেকে কানপুর ফেরার পথে এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় গ্যাংস্টার বিকাশ দুবের৷ এরপরেই বিকাশ দুবের মা সরলা দেবী ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন৷ মিডিয়ার শত আহ্বানেও কোনও সাড়া দেননি৷ জানিয়ে দেওয়া হয় সরলা দেবীর শরীর খারাপ হওয়ায় তিনি ঘরে শুয়ে আছেন৷
সরলা দেবী পুলিশের সঙ্গে কানপুর যেতেও অস্বীকার করেছেন, তিনি জানিয়ে দিয়েছেন তিনি লখনউতেই ঠিক আছেন৷ পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন ছেলের সঙ্গে তাঁর কোনও যোগ ছিল না৷ এর আগে পুলিশ যখন বিকাশ দুবেকে ধরেছিল তখন তিনি বলেছিলেন, পুলিশ যা ঠিক মনে করবে সেটাই করবে৷’ গ্যাংস্টার বিকাশের মৃত্যুর পর তার বাড়ির কোন সদস্যই হাসপাতালে পৌঁছয়নি৷ বিকাশের বাবা কানপুরেই আছেন৷ কৃষ্ণানগরে বিকাশের বাড়ির বাইরে পুলিশের বড় দল মোতায়েন করা আছে৷
বিকাশ দুবের দেহ হৈলট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানেই তার পোস্টমর্টেম করা হয়৷ কিন্তু এরপর যখন শবদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার কথা বলা হয় তখন বিকাশের পরিবার তাঁদের খুনী ছেলের মৃতদেহ নিতে অস্বীকার করে৷ পুলিশ বিকাশ দুবের বউকে ডেকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা জেরা করেছিল৷ কানপুর এনকাউন্টারে তার কোনও যোগসাজশ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছিল৷ তবে এই জেরায় তাঁকে নির্দোষ পাওয়ায় তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়৷ এই জেরার সময় বিকাশের স্ত্রী-র সঙ্গে তাঁর নাবালক পুত্র সন্তানও ছিল৷
মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল চিকিৎসক জানিয়েছে গ্যাংস্টার বিকাশ দুবের বুকে তিনটি গুলি লেগেছিল৷ এছাড়াও একটা গুলি হাতে লেগেছিল৷ তিনি আরও জানিয়েছেন বিকাশ দুবেকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ এরপর তার করোনা পরীক্ষাও করা হয়৷ বিকাশ দুবের এনকাউন্টারের সময় ২ জন পুলিশ আধিকারিকও আহত হয়েছেন৷ তাদের চিকিৎসা চলছে৷
এদিকে গ্যাংস্টার বিকাশ দুবের এনকাউন্টার নিয়ে একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে যোগী রাজ্যের পুলিশকে৷ কানপুরের ডনের সঙ্গে পুলিশের এনকাউন্টারের কিছুক্ষণ আগেই কেন সংবাদমাধ্যমকেও পুলিশের কনভয়কে ধাওয়া করা থেকে আটকানো হল, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে৷