আজ সকালে মধ্যপ্রদেশের মহাকাল মন্দির থেকে অবশেষে গ্রেফতার করা হয়েছে কানপুরের কুখ্যাত গ্যাংস্টার বিকাশ দুবেকে। গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে কানপুরের বিকরু গ্রামে বিকাশের সাতমহলা বাড়িতে হানা দিয়েছিল বিশাল পুলিশবাহিনী। তবে আগে থেকেই খবর পেয়ে সতর্ক ছিল বিকাশ এবং তাঁর দলবল। পুলিশ বাড়ির কাছাকাছি আসতেই ছাদ থেকে শুরু হয় এলোপাথাড়ি গুলিবৃষ্টি। সেই সঙ্গে উড়ে আসতে থাকবে বড় বড় পাথর। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান এক ডিএসপি-সহ মোট আটজন পুলিশকর্মী।
এই ঘটনার পর থেকেই নিখোঁজ ছিল বিকাশ দুবে। টানা পাঁচদিন ধরে তাঁকে হন্যে হয়ে খুঁজেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সের ২৫টি দল। শেষ পর্যন্ত এদিন মধ্যপ্রদেশ থেকে বিকাশ দুবেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তদন্তকারী আধিকারিকরা আগেই অনুমান করেছিলেন মধ্যপ্রদেশে পালাতে পারে বিকাশ। সেই মতোই চলছিল তল্লাশি। আজ সকালে উজ্জয়িনীর মহাকাল মন্দির থেকে বিকাশ দুবেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সূত্রের খবর, এ দিন মহাকাল মন্দিরের সিসিটিভিতে ধরা পড়েছিল বিকাশের গতিবিধি। এর পাশাপাশি পুজোর ডালি বিক্রেতা এক দোকানদারই নাকি প্রথম খবর দেয় পুলিশকে। এ ছাড়াও জানা গিয়েছে, মন্দিরের এক নিরাপত্তারক্ষীও বিকাশের আসার ব্যাপারে খবর দিয়েছিল পুলিশকে। কিন্তু ত্রাস ছড়ানো গ্যাংস্টার বিকাশের নাটকীয় গ্রেফতারের পর অনেকেই মনে করছেন এটা আদৌ গ্রেফতার, নাকি পরিকল্পনা করে আত্মসমর্পণ করেছে বিকাশ?
এখন প্রশ্ন হল হঠাৎ কেনই বা আত্মসমর্পণ করবে কানপুরের ত্রাস? একাংশের মতে, সম্ভবত এনকাউন্টারে মারা যাওয়ার ভয় পেয়েছিল বিকাশ। সেই সঙ্গে গত কয়েকদিনে পরপর ধরা পড়ছিল গ্যাংস্টারের বিশ্বস্ত সঙ্গীরা। তাদের মধ্যে কেউ এনকাউন্টারে মারা গিয়েছে। কেউ বা পুলিশ হেফাজতে ম্যারাথন জেরার মুখে পড়েছে। সব মিলিয়ে ক্রমশই কোণঠাসা হয়ে গিয়েছিল বিকাশ দুবে। সেই কারণেও তিনি আত্মসমর্পণ করতে পারেন বলে মনে করছে প্রশাসনের একাংশ।
অন্যদিকে জানা গেছে, আজ ফরিদাবাদের একটি হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজে মাস্ক পরা এক ব্যক্তিকে দেখে বিকাশ দুবে বলে সন্দেহ হয় পুলিশের। সেই জন্য ওই হোটেলে তল্লাশি চালাতে যায় পুলিশবাহিনী। তখনই পালাতে গিয়ে এনকাউন্টারে মারা যায় বিকাশের এক সহকারী রণবীর। পরে পালানোর চেষ্টা করায় এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় আরেক সঙ্গী প্রভাতের। একে একে সঙ্গীসাথীদের পতন সেই সঙ্গে নিজে এনকাউন্টার হয়ে যাওয়ার ভয়েই কি তাহলে আদতে আত্মসমর্পণ করেছে বিকাশ দুবে নাকি তাকে গ্রেফতার করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এসটিএফ এখন সেই প্রশ্নই উঠছে অনেকের মনে।