করোনায় মৃত্যু ঠেকাতে এবার সুপার স্পেশালিটি মেডিক্যাল টিম তৈরি হল শিলিগুড়িতে। গ্যাস্ট্রোলজিস্ট, নিউরো মেডিসিন, নিউরো সার্জেন, নেফ্রোলজিস্ট, কার্ডিওলজিস্ট, ইউরোলজিস্ট, অর্থোপেডিক্স ও সাইকিয়াট্রিক থাকবেন এই টিমে। শিলিগুড়িকে কেন্দ্র করেই কাজ করবে ওই টিম।
করোনার উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রোগীদের মৃত্যু হার বাড়ার কারণ নিয়ে বৈঠকে পর্যালোচনা হয়। সংশ্লিষ্ট বিভাগের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদেরও এই বৈঠকে ডাকা হয়। উঠে আসে পরিকাঠামোগত বেশ কিছু সমস্যা। যাঁরা মারা গিয়েছেন তাঁদের বেশিরভাগের শরীরেই অন্য রোগের সমস্যা ছিল বলে জানা গেছে।
গত কয়েকদিনে শিলিগুড়িতে করোনা আক্রান্ত বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার মারা গেছেন চারজন। এই পরিস্থিতিতেই বৃহস্পতিবার তড়িঘড়ি বৈঠকে বসেন স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন উত্তরবঙ্গের ওএসডি ডাঃ সুশান্ত রায়, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার, বিভিন্ন বিভাগের ডিন, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান এবং দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক এস পুন্নমবলম।
ডাঃ সুশান্ত রায় জানান, গত কয়েকদিনে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তারমধ্যে বেশিরভাগই ও কো মরবিডিটিতে মৃত্যু।
তিনি বলেন, ‘‘কোনও মৃত্যুই কাম্য নয়। বেশ কয়েকজনের মৃত্যু দুঃখজনক ব্যাপার। তাই আমরা এবার বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছি। শিলিগুড়ি উত্তরবঙ্গের প্রাণকেন্দ্র। এখানে প্রচুর মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। বিশেষ করে কো মরবিডিটির কথা ভেবেই সুপার স্পেশালিটি চিকিৎসকদের টিম করা হয়েছে। রোগীর পরিস্থিতি দেখতে তাঁরা যে কোনও মুহূর্তে ছুটে যাবেন কোভিড হাসপাতালে।’’
বিশেষ করে শিলিগুড়ির দু’টি কোভিড হাসপাতাল হিমাঞ্চল বিহারের চ্যাং ও কাওয়াখালির ডিসান হাসপাতালে এই টিম করোনা আক্রান্তদের সেবায় কাজ করবে। যে সমস্ত নার্সিংহোম রোগী ফেরাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ও প্রয়োজনে লাইসেন্স বাতিল করারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ডাঃ সুশান্ত রায়। অনেক ক্ষেত্রে রোগীর অবস্থা সম্পর্কে পরিজনদের ঠিকমতো জানানো হচ্ছে না বলে বারবার অভিযোগ উঠছে। তাই হাসপাতালের পাশাপাশি এবার প্রশাসনের কাছেও রোগীর পরিজনের যোগাযোগ নম্বর রাখা হবে বলে জানানো হয়েছে।