আবারও বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটে গেল লিলুয়া ওয়ার্কশপে। এবার ওয়ার্কশপের বাহার লাইনে (জে ৭)ক্রেনের হুক ভেঙে মাথায় এসি কামরার প্যাকেজিং ইউনিট পড়ে গুরুতর আহত হলেন এক রেলকর্মী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আহত কর্মী আলোক রায়কে বিআর সিং হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাঁর মাথায় দশটি সেলাই পড়েছে। আপাতত তাঁর প্রাণহানির আশঙ্কা নেই।
এই ঘটনায় ওয়ার্কশপ কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার অভিযোগ তুলে কর্মীরা বিক্ষোভ দেখান। সিডব্লুএম পি শর্মাকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। লকডাউনের আগেও ওয়ার্কশপে এমনভাবেই ক্রেন ছিঁড়ে দুর্ঘটনা ঘটেছিল। আরও আগে এমন দুর্ঘটনা ঘটলেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা উপযুক্ত রাখেননি কর্তৃপক্ষ বলে অভিযোগ।
কর্মীদের অভিযোগ, বাহার লাইনে কার্পেন্টার, ফিটার, রং মিস্ত্রি, মজদুর সবাই এক সঙ্গে কাজ করলেও ইউনিটটি ব্যাটারির বাক্স ও অন্যান্য সরঞ্জামে ভর্তি। ফলে সেখানে তিলধারণের জায়গা নেই। এহেন পরিবেশে নিরাপত্তা শিকেয় তুলে কর্মীরা কাজ করছিলেন। মঙ্গলবার দুপুরে হঠাতই মাথার ওপরের ক্রেনের হুক ভেঙে ৭০৫ কিলোগ্রাম ওজনের একটি প্যাকেজিং ইউনিট প্রথমে ট্রেনের কামরার ছাদে পড়ে। তারপর মাটিতে পড়ার সময়ে ওই কর্মীর মাথায় লাগে।
রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে হেলথ ইউনিটে পরে বিআর সিং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপরেই কর্মী বিক্ষোভ শুরু হয়। তাঁদের অভিযোগ, উপযুক্ত নিরাপত্তা নেই, নেই সুরক্ষার সরঞ্জাম। বুধবার নিরাপত্তার দাবিতে ওয়ার্কশপে বিক্ষোভ দেখান শ্রমিকরা।
পূর্ব রেলের মেনস ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অমিত ঘোষ অভিযোগ করেন, লিলুয়া ওয়ার্কশপে কোনও রকমের নিরাপত্তা নেই শ্রমিকদের। করোনা পরিস্থিতিতেও একশো শতাংশ কর্মীকে কাজে লাগানো হয়েছে। স্যানিটাইজ করার মতো কোনও ব্যবস্থা নেই। দেওয়া হচ্ছে না সাবানও। ফলে স্বাস্থ্যবিধি মানতে পারছেন না কর্মীরা।