উম্পুনের পর রাজ্যে এসে বাংলাকে ১ হাজার কোটি টাকা দিয়ে সাহায্য করবে বলে জানিয়ে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে রাজ্যের যা হাল, তাতে এই হাজার কোটি টাকায় চিঁড়েও ভিজবে না। এদিকে কেন্দ্রের তরফ থেকে রাজ্যের এখনও ৫৩ হাজার কোটি টাকা পাওনা রয়েছে, যা দিচ্ছে না কেন্দ্র। আর এর ফলেই উম্পুন-বিধ্বস্ত এলাকা পুনর্নির্মাণে সিংহভাগ খরচ করছে রাজ্য সরকার। এমনটাই জানালেন কলকাতা পুরসভার প্রধান প্রশাসক ও রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
ফিরহাদের মতে, ওই ১ হাজার কোটি টাকা ছাড়া কেন্দ্রীয় সাহায্য নেই বললেই চলে। করোনা মোকাবিলাতে প্রচুর টাকা খরচ হচ্ছে রাজ্যের। গতকাল, বারুইপুর বাইপাসের সংস্কারের কাজের শিলান্যাস করতে এসে এ সব অভিযোগ তুলে ধরেছেন তিনি। একইসঙ্গে বলেন, ‘এখন সরকারের ট্যাক্স বা রেভিনিউ সংগ্রহ তলানিতে ঠেকেছে। কর্পোরেশনে বসে সেটাও টের পাই। এই অবস্থায় বারুইপুর বাইপাসের সংস্কারের জন্য রাজ্য ৭৫ কোটি টাকা অনুমোদন করবে, ভাবতে পারিনি। এই টাকা অনুমোদন করার জন্য অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রকে ধন্যবাদ জানাই।’
এদিন কামালগাজি মোড় থেকে বারুইপুর বাইপাসের সংস্কারের কাজের শিলান্যাস করে ফিরহাদ বলেন, ‘তৃণমূল ক্ষমতায় আসার সময় এই বাইপাসের ৭ কাঠা জমি আটকে ছিল। মানুষের সঙ্গে কথা বলে সেই জমিজট ছাড়াই। বাইপাস তৈরি হয়। কিন্তু এই ক’বছরে বাইপাসের ধারে বড় বহুতল তৈরি হওয়ায় এবং ভারী লরি যাতায়াতের জেরে এই রাস্তার প্রায় ভগ্নদশা। বিধায়ক ও বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান ব্যানার্জি এই রাস্তা সংস্কারের কথা বার বার বলেন।’
এখানেই না থেমে ফিরহাদ আরও বলেন যে, ‘তারপরেই আমি এই বিষয়টি রাজ্যের অর্থমন্ত্রীকে জানাই। এই কঠিন আর্থিক পরিস্থিতিতেও এই কাজের জন্য ৭৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করেন তিনি। বাইপাসের কামালগাজি থেকে বারুইপুর— ১৪ কিমি আপ এবং ১৪ কিমি ডাউন মিলিয়ে মোট ২৮ কিমি রাস্তার সংস্কারের কাজ হবে। সঙ্গে থাকছে নিকাশিনালা ও আদিগঙ্গার দু’পাড়ের সৌন্দর্যায়ন। তাছাড়া বেশ কয়েকটা বৈদ্যুতিক স্তম্ভের কাজও করতে হবে।’