রাজ্যে করোনা সংক্রমণ রোধে প্রথম থেকেই সচেষ্ট প্রশাসন। এবার যেমন ব্যবহৃত-পরিত্যক্ত মাস্ক, গ্লাভস ও হেড-ক্যাপ থেকে এই মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে শহরজুড়ে হলুদ রঙের ড্রাম (বিন) বসাবে কলকাতা পুরসভা। অফিস বা ব্যবসার কাজে শহরে আসা এবং বাসিন্দা উভয় শ্রেণির মানুষকেই নিজেদের ব্যবহার করা মাস্ক, গ্লাভস ওই পাত্রে ফেলতে হবে। বিশেষ পরিকাঠামোর গাড়ি দিয়ে ওই হলুদ ড্রাম থেকে পরিত্যক্ত সামগ্রী ‘বায়ো মেডিক্যাল বর্জ্য’ হিসাবে পরিত্যক্ত সংগ্রহ করে বিজ্ঞানভিত্তিক পথে ধ্বংস করা হবে।
রাস্তায় ফেলে দেওয়া মাস্কের মতো করোনা প্রতিরোধী ব্যবহার্য থেকে সংক্রমণের শঙ্কা নিয়ে সোমবার পুরভবনে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠকের পর এমনই সিদ্ধান্তের কথা জানান মুখ্য প্রশাসক পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। বাসস্ট্যান্ড, শপিং মল, বাজার, পেট্রোল পাম্পের সামনে যেমন এই হলুদ ড্রাম বসানো হবে তেমনই গড়িয়াহাট, বিবাদী বাগ, শ্যামবাজার, হাজরা, ধর্মতলা, হাতিবাগানের মতো জনবহুল জায়গায় থাকবে।
লকডাউন উঠে আনলক হতেই প্রায় সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি অফিস চালু হওয়ায় শহরে সাধারণ মানুষের চলাচল বেড়ে গিয়েছে। কিন্তু এই সময়ে যাওয়া-আসার পথে মানুষ ব্যবহৃত মাস্ক হয় ফেলে দিচ্ছেন, নয়তো অজান্তে পড়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে কার মাস্কে কোভিড ভাইরাস আসে ও কার নেই তা জানা সম্ভব হচ্ছে না। রাস্তা থেকে কুড়িয়ে নেওয়া ওই মাস্ক, গ্লাভস অনেক সময় ফুটপথবাসী ব্যবহার করছেন। সাফাই কর্মীরা সরিয়ে ফেলতে গিয়ে করোনা সংক্রমণের শিকার হওয়ার ভয় রয়েছে।
এ নিয়ে ফিরহাদ জানান, ‘আপাতত দু’হাজার হলুদ ড্রাম (বিন) এবং কিছু বিশেষ গাড়ি কিনছে পুরসভা। জনবহুল জায়গায় বসানো হবে। করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে সবাইকে ওই হলুদ রঙের ড্রামেই ব্যবহার করা মাস্ক, গ্লাভস, ক্যাপ ফেলে আসুন।’ পুরসভার গাড়ি ওই ব্যবহৃত সামগ্রী সংগ্রহ করে মেশিন দিয়ে কেটে টুকরো করে তবেই বায়ো মেডিক্যাল বর্জ্য সংগ্রহকারী সংস্থাকে তুলে দেবে। যাঁরা হোম আইসোলেশন বা ব্যক্তিগতভাবে কোয়ারেন্টাইনে আছেন তাঁদেরও ব্যবহার্য বর্জ্য সামগ্রী ওই হলুদ ড্রামে ফেলা বাধ্যতামূলক বলে সিদ্ধান্ত পুরসভার।