ভারতের জাতীয় দলের প্রাক্তন ওপেনার আকাশ চোপড়ার সঙ্গে সম্প্রতি এক আলাপচারিতায় ফের বিস্ফোরণ ঘটালেন জাতীয় দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা অফস্পিনার হরভজন সিংহ। তিনি বলেছেন, ‘গ্রেগ চ্যাপেল কোচ হয়ে এসে পুরো দলটাকে ধ্বংস করে দিয়েছিলেন। অনেক কিছু ঘটেছিল সেই সময়। কোচ হিসেবে ওঁর কী মোটিভ ছিল তা উনিই জানেন। তবে একটা জমাট দলকে কী ভাবে নষ্ট করতে হয়, তা ওঁর থেকে ভাল কেউই জানে না। যা চাইতেন উনি তাই করতেন। আর উনি যা চাইতেন মিডিয়া সেটাই লিখত। ওঁর কথামতো চলত লোকে।’
হরভজনের মতে, দলের মধ্যে বিভাজন নীতি চালু করছিলেন গ্রেগ চ্যাপেল। তাঁর সময়েই নেতৃত্ব হারিয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। পরে দল থেকে বাদও পড়েন তিনি। যদিও ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফরম্যান্সের জোরে সৌরভ পরে ফের জাতীয় দলে ফিরে আসেন। গ্রেগের কোচিংয়ে ২০০৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজে হওয়া বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডেই ছিটকে গিয়েছিল রাহুল দ্রাবিড়ের ভারত।
এই নিয়ে ভাজ্জি বলেছেন, ‘২০০৭ সালে হওয়া ৫০ ওভারের বিশ্বকাপই আমার কেরিয়ারের সবচেয়ে খারাপ সময়। আমরা একটা কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে চলেছিলাম। মনে হচ্ছিল যে, দেশের প্রতিনিধিত্ব করার পক্ষে এটা মোটেই ঠিক সময় নয়। কারণ, ভারতীয় ক্রিকেটের মাথায় ভুলভাল লোক বসেছিল। কে এই গ্রেগ চ্যাপেল? উনি ঠিক কী করতে চেয়েছিলেন? গ্রেগ চ্যাপেল আসলে ডিভাইড অ্যান্ড রুল নীতি নিয়ে চলেছিলেন। উনি এমন কাজই করতেন।’
তিনি আরও বলেন যে, ‘২০০৭ সালের বিশ্বকাপে আমাদের দল রীতিমতো শক্তিশালী ছিল। কিন্তু আমরা কেউই তখন নিজেদের মেলে ধরতে পারিনি। কারণ, মানসিক ভাবে আমরা একজনও নিজেদের সেরা জায়গায় ছিলাম না। কেউই কাউকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। দল অসুখী হলে তার প্রতিফলন তো পড়বেই পারফরম্যান্সে। আমরা শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের কাছে হেরে গিয়েছিলাম। অথচ, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ মোটেই বড় দল ছিল না।’