মাঝে একবার কেন্দ্রের তরফে সীমান্ত বাণিজ্য চালু করার কথা শুরু হলেও স্থানীয়দের আপত্তিতে সেটা স্থগিত হয়ে যায়। তবে এবার লকডাউন উঠে গিয়ে আনলক-১ জারি হওয়ায় দু-একদিনের মধ্যেই পেট্রাপোল দিয়ে নতুন করে শুরু হওয়ার পথে ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য। বৃহস্পতিবার পণ্য আমদানি-রফতানি চালু করার বিষয়ে ভারত ও বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা জিরো পয়েন্টে বৈঠকে বসেছিলেন। সেই বৈঠকে তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন প্রশাসনিক নির্দেশ এলেই তাঁরা বাণিজ্যের কাজ শুরু করতে পারবেন। শনিবার বেশ কিছু সতর্কতা মেনে সীমান্ত বাণিজ্য শুরু করার ব্যাপারে সবুজ সংকেত দিল রাজ্যও। এবার কেন্দ্রের ছাড়পত্র পেলেই শুরু হয়ে যাবে সীমান্ত বাণিজ্য।
শনিবার বিকেলে জেলাশাসক আমদানি রফতানির বিষয়ে একটি চিঠি দিয়েছেন পেট্রাপোল ল্যান্ডপোর্ট অথরিটি ম্যানেজারের কাছে। সেই চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন, সীমান্ত বাণিজ্য শুরু করার প্রক্রিয়া শুরু করা যেতে পারে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এবং করোনা প্রতিরোধের অন্য যাবতীয় ব্যবস্থা নিয়ে বাণিজ্য শুরুর কথা বলেন তিনি৷ এর ফলে সীমান্ত বাণিজ্য শুরু করার ব্যাপারে রাজ্যের তরফে অনুমতিও মেলে। এবার কেন্দ্রের ছাড়পত্র মিললেই শুরু হবে বাণিজ্য। শোনা যাচ্ছে আগামী দু-একদিনের মধ্যেই দু-দেশের মধ্যে শুরু হবে আমদানি রফতানি।
প্রসঙ্গত, লকডাউনের পর পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সমস্ত রকম স্বাস্থ্যবিধি মেনে পেট্রাপোল দিয়ে ব্যবসা চালু করার বিষয়ে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা৷ এরপর কেন্দ্র ও রাজ্যের প্রতিনিধিরা পেট্রাপোল-বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি শুরু করার বিষয়ে বৈঠক করেন। সেখানেও জিরো পয়েন্টে পণ্য খালি করার প্রস্তাব উঠে। এরপর পেট্রাপোল বন্দরে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয় পণ্য রফতানির কাজ। কিন্তু বাণিজ্যের স্বার্থে বাংলাদেশি শ্রমিকরা এদেশে ঢুকছেন, তাতে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা থাকছে। এই যুক্তি দেখিয়ে পেট্রাপোলের সাধারণ ব্যবসায়ীরাই তা বন্ধ করে দেওয়ার জন্য বিক্ষোভ দেখান।