করোনা আবহে ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, হ্যান্ড ওয়াশের মত হেলথ ও হোম হাইজিন পণ্যগুলির। সে কথা মাথায় রেখেই এবার এই ধরণের পণ্য উৎপাদনে নামছে রাজ্যের রাষ্ট্রায়ত্ত বেঙ্গল কেমিক্যালস অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। ১৮৯২ সালে আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়-প্রতিষ্ঠিত দেশে ওষুধ তৈরির প্রথম সংস্থাটি এবার হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করবে। সংস্থার চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর পি এম চন্দ্রাইয়া বলেন, ‘পুজোর আগেই মানিকতলা কারখানায় উৎপাদন শুরু হয়ে যাবে। তার এক সপ্তাহের মধ্যেই বাজারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার পাওয়া যাবে। হ্যান্ডস্যানিটাইজার তৈরির জন্য আমরা ড্রাগ লাইসেন্সের আবেদন করেছিলাম। সেই লাইসেন্স পাওয়া গিয়েছে।’ এর জন্য প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করবে সংস্থাটি।
প্রসঙ্গত, গত দু’মাস লকডাউন পর্বে বেঙ্গল কেমিক্যালসের ‘হোম কেয়ার’ পণ্যের বিক্রি ১০-১৫ শতাংশ বেড়েছে। চন্দ্রাইয়ার কথায়, ‘২০১৯-২০ অর্থবর্ষের এপ্রিল-মে মাসে আমাদের মোট বিক্রির পরিমাণ ছিল ৪.৫ কোটি টাকা। চলতি অর্থবর্ষের প্রথম দু’মাসে তা বেড়ে হয়েছে ৫ কোটি টাকা। মূলত ফিনাইল, ব্লিচিং পাউডার এবং ন্যাপথালিনের মতো পণ্যের চাহিদা বেড়েছে। আমাদের মোট বিক্রির ৭০ শতাংশ এসেছে ফিনাইল থেকে। চলতি অর্থবর্ষে আয়ের পরিমাণ ২০-২৫ শতাংশ বেড়ে ১১০-১২০ টাকা এবং মুনাফার পরিমাণ ২০-২৫ কোটি টাকা হবে বলেই আমার বিশ্বাস।’ তিনি জানান, লকডাউনে সমস্যায় না পড়লে বিক্রি আরও বাড়ত।
উল্লেখ্য, বর্তমানে সাদা এবং কালো রং-এর ফিনাইল, ন্যাপথালিন এবং ব্লিচিং পাউডারের মতো ‘হোম কেয়ার’ পণ্য তৈরি করে বেঙ্গল কেমিক্যালস। শুধু তাই নয়। পণ্যে বৈচিত্র্য আনতে ইতিমধ্যেই নিম এবং পাতিলেবুর গন্ধের সাদা ফিনাইল বাজারে এনেছে সংস্থাটি। সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের মধ্যে জুঁইফুলের গন্ধযুক্ত ফিনাইলও আনা হবে বলে চন্দ্রাইয়া জানান। খরচ কমাতে ৪৫০ মিলিলিটারের ফিনাইলের বোতলের বদলে ১ লিটারের ক্যান আনা হয়েছে। চন্দ্রাইয়া বলেন, এর ফলে খরচ ১০-১৫ শতাংশ কমবে। বেঙ্গল কেমিক্যালের মোট বিক্রির ৩৫-৪০ শতাংশ ‘হোম কেয়ার’ পণ্য থেকে আসে।