দেশ জুড়ে করোনা পরিস্থিতিতে নিজেদের জীবন বাজি রেখে এক জোটে কাজ করে যাচ্ছেন ডাক্তার থেকে নার্স ও সেবামূলক কাজে জড়িত ব্যক্তিরা। এমন অবস্তায় কাজে গাফিলতি ও বিনা নোটিসে দিনের পর দিন কাজে যোগ না দেওয়ার অভিযোগে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের ২৬ জন হাউসস্টাফকে বরখাস্ত করা হল। বুধবার দুপুরেই তাঁদের হাতে বরখাস্তের চিঠি হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম প্রধান।
অন্যদিকে, ডিপার্টমেন্ট অনুযায়ী কাজ না দেওয়া এবং লাগাতার কোভিড ওয়ার্ডে কাজ করানোর অভিযোগ তুলে তাঁরা কর্তৃপক্ষের দিকেই আঙুলও তোলেন। করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর এই কঠিন পরিস্থিতিতে চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে এই কড়া পদক্ষেপে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের লোকপুর ক্যাম্পাসের সামনে ইস্তফাপত্র হাতে নিয়ে বিক্ষোভও দেখান।
যদিও তাঁদের এই গণইস্তফা দেওয়ার বিষয়ে অধ্যক্ষ পার্থবাবু বলেন, “যাঁরা ইস্তফা দিতে এসেছিলেন আমার কাছে, তাদেরকে আগেই ‘বরখাস্ত’ করা হয়েছে। তাই তাঁদের ইস্তফা দেওয়ার কোনও মানেই হয় না।” এবিষয়ে অধ্যক্ষ জানান, “২৫০ জন পিজিটি এবং প্রায় ১৫০ জনের মতো ইনটার্ন এবং সিনিয়র চিকিৎসক রয়েছেন। তাই চিকিৎসা ব্যবস্থা কোনওভাবেই ব্যাহত হবে না।”
প্রসঙ্গত, এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, করোনা পরিস্থিতিতে সরকারি হাসপাতালের মতো জরুরি পরিষেবায় গত প্রায় দু’মাস ধরে এই হাউসস্টাফরা ঠিকমতো কাজ করছিলেন না। বারবার তাঁদের সতর্ক করাও হয়েছিল। তারপরও চলতি মাসের প্রথম দিন থেকে এঁরা কেউ কাজে যোগ দেননি টানা তিনদিন। তারপরই তাঁদের বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।