আগামী বছরই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনকে পাখির চোখ করেই এবার ধীরে ধীরে এগোচ্ছে তৃণমূল। বিজেপির বিরুদ্ধে এবার জেলায় জেলায় সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে নানান কর্মসূচি গ্রহণ করল তৃণমূল। গেরুয়া শিবিরকে কড়া জবাব দিতে ময়দানে নামলেন সমস্ত জেলার তৃণমূল বিধায়করা। এদিন পদ্মশিবিরের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে একজোট হয়ে কাজ করার ইঙ্গিত দিলেন রানাঘাট বিধানসভার বিধায়ক শঙ্কর সিং ও জেলা পরিষদের সভাপতি দীপক বসু।
বুধবার নদীয়ার কল্যাণীতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে শঙ্কর সিং বলেন, ‘সুব্রত বক্সী, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আলোচনা করে কিছু রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচিও নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্র সরকারের ব্যর্থতার মাসুল দিতে হচ্ছে জনসাধারণকে। আগামী ৫ জুন থেকে ১০ জুন পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত বিধানসভার বিধায়করা নিজস্ব কেন্দ্রভিত্তিক মানুষের সার্বিক দুর্দশার কথা তুলে ধরবে সারা বাংলায়। পাশাপাশি, কেন্দ্র সরকারের ব্যর্থতার কথাও তুলে ধরা হবে।’ তিনি আরও বলেন, নদিয়ার জেলার বিধায়করা সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে এই বিষয়গুলো জনসাধারণের কাছে পৌঁছে দেবেন।
জেলা পরিষদের সভাপতি দীপক বসু কিছু পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, বিজেপি বাংলাকে ‘উহান অফ ইন্ডিয়া’ হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে। কিন্তু বাংলায় জনসংখ্যার প্রতি ১০ লাখে ৫৬.৩৯ শতাংশ পজিটিভ কেস। এই পরিসংখ্যানে ১৩ নম্বর স্থানে রয়েছে বাংলা। রাজ্যে করোনায় মৃত্যুর হার প্রতি ১০ লাখে ৩.২৫ শতাংশ। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, ‘স্নেহের পরশ’ প্রকল্পের মাধ্যমে অন্য রাজ্যে আটকে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকদের নগদ ১ হাজার টাকা দিয়েছে রাজ্য সরকার।
শুধু তাই নয়, পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্যে ফিরিয়ে আনার সমস্ত ব্যবস্থা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। অপরদিকে, পরিমাণ মতো রেশন বিতরণ না করার অভিযোগে ৭৬২ জন ডিলারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ৭৯জন ডিলারকে সাসপেন্ড ও ৪৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু বিজেপি এর বিরুদ্ধে ভুয়ো খবর প্রচার করছে। ভোটের বাদ্যি বাজতে দেরি নেই। তাই এবার বিজেপির অপপ্রচারের বিরুদ্ধে আমাদের ময়দানে নামতে হল।