প্রকাশ্য রাস্তায় কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই গোটা আমেরিকা জুড়ে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। যে ঘটনায় যথেষ্টই কোনঠাসা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যে ভাবে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের ‘শায়েস্তা’ করতে সেনা ও পুলিশের একাংশকে লেলিয়ে দিয়েছেন তিনি, তার সমালোচনায় সরব হয়েছেন দেশের বিশিষ্টজনরা। এবার মুখ খুলে মার্কিন প্রেসিডেন্টের অস্বস্তি আরও বাড়ালেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জর্জ উইলিয়াম বুশ।
তিনি শুধু জর্জ ফ্লয়েডের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের নিন্দাই করেননি, দেশের মানুষের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ দমনে যে বলপ্রয়োগ করা হচ্ছে তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। যদিও পূর্বসূরীকে পাল্টা কটাক্ষের পথে হেঁটেছেন ট্রাম্প-ও। এদিন সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে দেশের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, ‘এখন বক্তৃতা দেওয়ার সময় নয়, এখন সময় কথা শোনার। যারা রাজপথে নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, তাদের অভিযোগ শোনা উচিত।’ শুধু তাই নয়, দেশে যে তরুণ কৃষ্ণাঙ্গরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন তাও মেনে নিয়েচেন বুশ। প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টের কথায়, ‘এখনও দেশে অনেক কৃষ্ণাঙ্গ হয়রানি ও হুমকির শিকার হচ্ছে। এতদিনে এটা দূর করতে না পারা অবশ্যই একটা বড় ব্যর্থতা।’
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান দলের অন্যতম বর্ষীয়ান নেতা জর্জ বুশের মন্তব্য ট্রাম্পকে যথেষ্টই অস্বস্তিতে ফেলবে। কেননা, রিপাবলিকান সমর্থকদের মধ্যে এখনও দেশের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বুশের যথেষ্ট জনপ্রিয়তা রয়েছে। কৃষ্ণাঙ্গ বিক্ষোভকারীদের আন্দোলনের প্রতি ইতিমধ্যেই বহু শ্বেতাঙ্গও সমর্থন জানিয়েছেন। সেনা ও পুলিশ সদস্যদের একাংশ হাঁটু গেড়ে আন্দোলনকারীদের প্রতি সংহতিও প্রকাশ করেছেন। ইতিমধ্যেই কৃষ্ণাঙ্গ বিক্ষোভ নিয়ে দেশের প্রেসিডেন্টের ‘বিতর্কিত’ মন্তব্য নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন হিউস্টনের পুলিশ প্রধান। কোনও রাখঢাক না রেখে তিনি ট্রাম্পের উদ্দেশে বলেছেন, ‘আপনি মুখ বন্ধ রাখুন। যদি গঠনমূলক কিছু না বলতে পারেন, তাহলে এই পরিস্থিতিতে দয়া করে আপনার মুখ বন্ধ রাখাটাই শ্রেয়।’