এতদিন বিতর্ক ছিল, বিবাদ ছিল। ছিল ট্যুইটের যুদ্ধ। কিন্তু এবার এসব থেকে বেড়িয়ে এসে চূড়ান্ত স্বেচ্ছাচারী পদক্ষেপ নিয়ে নিলেন বাংলার রাজ্যপাল জগদীশ ধনকর। রাজ্য সরকারের পাঠানো নাম ছেঁটে দিয়ে নিজের ইচ্ছামতন, নিজের পছন্দমতন অধ্যাপককে বসিয়ে দিলেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য পদে। আর এই ঘটনা নিয়েই চূড়ান্ত আকার ধারন করল রাজ্য বনাম রাজ্যপালের বিরোধ। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য পদের নিয়োগে এই ধরনের স্বেচ্ছাচারীতার নিদর্শন ভূ-ভারতে কোথাও নেই। এদিন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ধনকরের এই পদক্ষেপ মানবে না বলে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে জানিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু রাজ্য বিজেপি আবার ধনকরের হয়ে কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়েছে। সব মিলিয়ে চূড়ান্ত অচলাবস্থার আশঙ্কা বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে। যার জেরে অনিশ্চিত হতে পারে পড়ুয়াদের পঠনপাঠনও।
রাজ্যপাল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য নিয়োগ করেছেন ‘নিয়মবিরুদ্ধ’ ভাবেই এবার এই মর্মেই ক্ষোভ ব্যক্ত করেন শিক্ষামন্ত্রী। পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘এটা খুবই দুঃখজনক। ওনাকে আমরা আমাদের তৈরি একটি তালিকা পাঠাই। কিন্তু উনি নিজের পছন্দের ব্যক্তিকে নিয়োগ করলেন। যার নাম ওই তালিকায় ছিলই না। যারা বিজেপির পরতি নিবেদিত প্রাণ তাঁদেরকেই উনি নিয়োগ করে আসছেন। এটা ঠিক নয়। আমরা এই নিয়োগ মানছি না।’
শিক্ষাদফতরের সূত্রের খবর অনুযায়ী প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী সরকার সবসময় রাজ্যপালকে তিন জনের নামের একটি তালিকা পাঠায়। রাজ্যপাল সেই তালিকা থেকে একজনকে ওই পদে নিয়োগ করেন। এতদিন এই নিয়মেই চলে এসেছে এই নিয়োগ পর্ব। তবে এবার বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য পদে আচার্য জগদীপ ধনকড় নিয়োগ করেন প্রাণীবিদ্যা বিভাগের প্রধান গৌতম চন্দ্রকে। যার নাম রাজ্যের পাঠানো তালিকায় ছিল না। এই নিয়েই শুরু হয় তরজা।