লকডাউন শিথিল হতে শুরু করলেও এখনও স্তব্ধ গণপরিবহণ। এই পরিস্থিতিতে করোনা পরীক্ষা করাতে যেতে অনেকেই অনীহা দেখাচ্ছেন। এখন কোভিড টেস্টের জন্য মানুষ যদি একান্তই হাসপাতালে যেতে না চান, তাহলে ল্যাবের তরফেই বাড়ি এসে নমুনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে। অতিমারি আবহে করোনা পরীক্ষার হার বাড়াতে এই ব্যবস্থাও বলবৎ হতে চলেছে এই শহরেই। একাধিক বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে এবার বাড়িতে বসেই করাতে পারবেন কোভিড পরীক্ষা কলকাতাবাসী।
প্রসঙ্গত, সংক্রমণের ভয়ে এই মুহূর্তে ইচ্ছে থাকলেও অনেকে সাহস করে হাসপাতালে যেতে পারছেন না। টেস্ট করানোর জন্য যে দু’-তিন দিন থাকতে হবে হাসপাতালে! রিপোর্ট যাই আসুক না কেন। আর ওই ক’দিন পরিবারকে পাড়ায় একঘরে হয়ে থাকতে হবে। পল্লবিত হতে পারে হরেক গুজব। যা সামলানোর ক্ষমতা অনেকেরই নেই। অগত্যা উপসর্গ থাকলেও কোভিড টেস্ট করানোর রাস্তায় হাঁটছেন না বহু লোক। এবার তাঁদের জন্য মুশকিল আসান। সাড়ে চার হাজার টাকা খরচ করলে বাড়িতে বসেই কোভিড টেস্ট করানো যাবে।
দরকার শুধু আধার কার্ড এবং ডাক্তারের একটি প্রেসক্রিপশন। যাতে লেখা থাকবে, রোগীর কোভিড টেস্ট করানো দরকার। এই ন্যূনতম শর্তেই শহরের দু’টি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের তরফে সন্দেহভাজনদের লালারসের নমুনার ‘হোম কালেকশন।’ পিপিই পরে কালেক্টররা টুক করে বাড়ি গিয়ে সোয়াব স্যাম্পল কালেক্ট করে আনবেন। রিপোর্ট মিলবে ৪৮ ঘণ্টায়। নেগেটিভ হলে তো ঠিক আছে। পজিটিভ হলে ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকেই রিপোর্ট চলে যাবে স্বাস্থ্যদফতরে। তারপর প্রোটোকল অনুযায়ী ব্যবস্থা।
এই ‘মুশকিল আসান’ পরিষেবার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে কলকাতার দু’টি ডায়াগনিস্টিক সেন্টার। ল্যান্সডাউনের ‘পালস ডায়াগনস্টিক’ ও সল্টলেকের ‘সুরক্ষা ডায়গনস্টিক।’ আজ সোমবার পালস-এর কালেক্টররা বাড়ি গিয়ে নমুনা সংগ্রহ শুরু করবেন। সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, প্রাথমকিভাবে দৈনিক ৫০-১০০টি নমুনা সংগ্রহের পরিকাঠামো ও লোকবল তাঁদের রয়েছে। পিপিই পরিহিত কালেক্টররা বাইকে চেপে বাড়ি বাড়ি যাবেন। ক্যাশ পেমেন্টের পাশাপাশি সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে অনলাইনে পেমেন্টের ব্যবস্থাও থাকছে।