আজ সকাল থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে একটি নির্মম ভিডিও। যেখানে দেখা গেছে, জর্জ ফ্লয়েড নামে এক আফ্রিকান-আমেরিকানের গলার উপর পা দিয়ে বসে শ্বেতাঙ্গ পুলিশ অফিসার ডেরেক শভিন। মিনিয়াপোলিস শহরের এই ছবি কার্যত আগুন জ্বালিয়েছে আমেরিকা সহ গোটা পৃথিবীতেই। আফ্রিকান-আমেরিকান বংশোদ্ভুতদের উপর পুলিশি অত্যাচারের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে মানুষ। প্রতিবাদ শুরু করেছেন মেগাস্টার লেব্রন জেমস থেকে ক্রীড়াজগতের বিভিন্ন তারকারা।
আমেরিকান উঠতি টেনিস তারকা কোকো গফ যেমন। টুইটারে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন ১৬ বছরের কোকো। যেখানে একে একে ভেসে উঠছে পুলিশি অত্যাচারে নিহত আফ্রিকান-আমেরিকান মানুষদের মুখ ও পরিচয়। সব শেষে কোকো নিজে দু’হাত কাঁধের উপরে তুলছেন। সঙ্গে প্রশ্ন, ‘অ্যাম আই নেক্সট?’ শুধু আফ্রিকান বংশোদ্ভুত হওয়ার জন্য কি তাঁকেও একই রকম অত্যাচারের শিকার হতে হবে? তার সঙ্গে কোকো অন্যদেরও সামিল হতে বলেছেন এই প্রতিবাদে। লিখেছেন, ‘আমি আওয়াজ তুলছি। আপনারাও কি তা-ই করবেন?’ এছাড়াও একাধিক টুইট ও রিটুইট করে মার্টিনা নাভ্রাতিলোভা আক্রমণ করেছেন ট্রাম্প প্রশাসনকে। প্রশ্ন তুলেছেন এই প্রতিবাদের ঝড় কী ভাবে সামলাবেন ট্রাম্প?
মিনিয়াপোলিস থেকে প্রতিবাদের আগুন ছড়িয়ে পড়েছে আমেরিকার বিভিন্ন প্রদেশে। দাঙ্গার আকার নিয়েছে প্রতিবাদ। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সেনাকে তৈরি থাকতে বলেছেন রাস্তায় নামার জন্য। ইংল্যান্ড ও আর্সেনালের প্রাক্তন স্ট্রাইকার ইয়ান রাইট আতলান্তিক সাগরের এ পার থেকেও প্রতিবাদী বার্তা লিখেছেন টুইটারে। রাইট লিখেছেন, ‘আমি ক্লান্ত। আমরা ক্লান্ত। এই মন্তব্য, জবাব যেন প্রতিদিন আমাদের চিনিয়ে দিচ্ছে। এই ভিডিওটা আমাকে পরিশ্রান্ত করে দিয়েছে। হয়তো এই সব দৃশ্য দেখার থেকে একটা ব্রেক দরকারি হয়ে পড়েছে।’