বাংলাকে তছনছ করে গেছে ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় উম্পুন। সেই ক্ষত এখনো পুরোপুরি সারিয়ে তোলা যায় নি। এই বিধ্বংসী ঝড়ের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শহরের অগুনতি গাছ। তাই তিলোত্তমার সবুজ রক্ষা করতে গাছগুলোকে পুনরায় রোপণ করার সিদ্ধান্ত নিল কেএমডিএ। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে এই কাজ শুরু করা হবে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। পাশাপাশি উদ্ভিদবিদ এবং বিশেষজ্ঞদের নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেছিল কলকাতা পুরসভা। পুরভবনে পুরসভারই নিজস্ব ১৬ জন উদ্ভিদবিদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য দেবাশিস কুমার।
ঝড়ে পড়ে যাওয়া গাছ পুনরায় রোপণ করে অতীতে সাফল্য পেয়েছিল কেএমডিএ। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই এবারও ইকো পার্ক, রবীন্দ্র সরোবর ও সুভাষ সরোবরে উপড়ানো গাছের একটা বড় অংশই পুনরায় ওই উদ্যানেই দ্রুত বসিয়ে দেওয়া হবে। বিশেষ করে যে সমস্ত গাছ পাঁচ বছরের কম বয়সি এবং খুব দীর্ঘ নয় তাদের বর্ষার আগেই সেগুলো ‘রিপ্ল্যান্টেশন’ করা হবে।
কেএমডিএ’র অফিসাররা উদ্ভিদ বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গত তিন দিনে রবীন্দ্র সরোবর ও সুভাষ সরোবর পরিদর্শন করেছেন। বিস্তারিত রিপোর্ট জমা পড়েছে কেএমডিএ’র চেয়ারম্যান তথা পুরমন্ত্রীর কাছে। সবুজ সংকেত মিলতেই রিপ্ল্যান্টেশন কর্মসূচি শুরু করেছেন কেএমডিএ আধিকারিকরা
পরীক্ষামূলকভাবে এদিন রবীন্দ্র সরোবর লাগোয়া যতীন দাস পার্কে একটি হেলে পড়া বড় গাছ টেলিস্কোপিক হাইড্রোলিক ক্রেন দিয়ে তুলে অন্যত্র পুনঃস্থাপনের কাজ হয়েছে। এবিষয়ে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “কলকাতার বড় রাস্তায় পরিসর ও মাটির গুণমানের কারণে রিপ্ল্যান্টেশন সামান্য অসুবিধা হয়। কিন্তু ইকো পার্ক, রবীন্দ্র সরোবর ও সুভাষ সরোবরে যত গাছ উপড়ে গিয়েছে সেগুলির অধিকাংশই ফের বসিয়ে দেওয়া হবে। উপড়ানো দামি গাছগুলি আগে ‘রিপ্ল্যান্টেশন’ হবে।এবার ইকো পার্কে রিপ্ল্যান্টেশন করায় জোর দেওয়া হচ্ছে। নতুন গাছও লাগানো হবে।”