দক্ষিণ কোরিয়া বা জার্মানির মত প্রতিযোগীতামূলক ম্যাচ এখনও শুরু না হলেও আগামী মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই লা লিগা শুরুর কথা স্পেনে। যেখানে মেসি-পিকে-র্যামোসদের মত তাবড় তাবড় ফুটবলারদের খেলতে দেখা যাবে। তবে খেলাধুলো শুরু হলেও করোনা সংক্রমণ রুখতে স্টেডিয়ামে প্রবেশের অনুমতি নেই কোনও দর্শকের।
এই পরিস্থিতি কিছুটা সামলাতে কোনও কোনও স্টেডিয়ামের পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেমে ম্যাচের সময় বাজানো হচ্ছে রেকর্ড করে রাখা দর্শকদের চিৎকার। কোথাও আবার গ্যালারির চেয়ারে সাজিয়ে রাখা হচ্ছে ম্যানিকুইন (পুতুল)। কিন্তু তাতেও দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে খেলার হতাশা দূর হচ্ছে না খেলোয়াড়দের। সম্প্রতি বুন্দেশলিগার একটি ম্যাচের পরে বায়ার্ন মিউনিখ তারকা থোমাস মুলার বলেছিলেন, ‘স্টেডিয়ামের পরিবেশ দেখে মনে হচ্ছে যেন বৃদ্ধদের ফুটবলে অংশ নিচ্ছি আমরা।’
আর ফুটবলারদের এহেন গুরুতর সমস্যায় এগিয়ে এল জাপানের একটি সংস্থা। সমস্যার সমাধান করতে একটি অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে তারা। বিশেষ মোবাইল ফোন অ্যাপের (রিমোট চিয়ারার) মাধ্যমে ইতিমধ্যেই স্টেডিয়ামের সেই চেনা আবহ ফেরানোর পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করে দিয়েছে তারা। এমনকি টেলিভিশন বা অনলাইনে খেলা দেখার সময় দর্শকদের প্রতিক্রিয়াও পৌঁছে যাবে মাঠে থাকা খেলোয়াড়দের কাছে।
কিন্তু এটা কিভাবে সম্ভব? কোন পদ্ধতিতে কাজ করবে এই অ্যাপ? জানা গেছে, ম্যাচের সময় স্টেডিয়ামের বিভিন্ন অংশে এবং দর্শকাসনে স্পিকার রাখা থাকবে। অ্যাপে একাধিক বোতাম রয়েছে। কোনওটা উন্মাদনা প্রকাশের জন্য। আবার কোনও বোতাম রয়েছে প্রিয় দলের জয় কামনা করে প্রার্থনা করার জন্য। আবার ক্ষোভ উগরে দেওয়ার জন্যও আলাদা বোতাম রয়েছে। ঘরে বসে থাকা দর্শকরা সেইমত পছন্দ অনুযায়ী বোতাম টিপে খেলোড়ারদের সামনে নিজের মনোভাব প্রকাশ করতে পারবেন।